ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য স্থানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন ছিল। বোর্ড গঠনে উপস্থিত হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী ও তাদের অনুগামীরা। অভিযোগ, তাদের মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। হাসপাতালে চিকিৎসা সেরে বাড়ি ফিরতেই রাতে এলাকার মহিলারা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ। তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ মেদিনীপুর সদরের শালডাঙ্গা এলাকায়। বিদায়ী প্রধান তথা নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণা সিং-এর অভিযোগ, “স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মী মারধর করেছে।” কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৩ টি আসন, যার মধ্যে এবার নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ১৭টি, নির্দল পেয়েছে ৫ টি, বিজেপি ১টি । এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান, উপপ্রধান কৃষ্ণা সিং ও বিশ্বজিৎ কর্মকার তৃণমূলের। কিন্তু এবার দল টিকিট না দেওয়াতে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েছেন।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচজন নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। নির্দলের জয়ী প্রার্থীরা কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে গিয়েছিলেন। সেখানে সঙ্গে থাকা তাদের অনুগামীদের উপর স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাতে নির্দলের তিনজন অনুগামী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। সন্ধ্যা বেলা জানতে পারেন আক্রমণকারীদের একজন তৃণমূল নেতা তথা বাগডুবি সংসদের পরাজিত প্রার্থী শান্তনু পাত্র শালডাঙ্গা দলীয় কার্যালয়ে রয়েছেন। এরপরে স্থানীয় মহিলারা গিয়ে ওই দলীয় কার্যালয় ঘিরে ধরেন। চলে ব্যাপক বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় কুড়মি নেতারা, এবার কি মিটবে কুড়মি জট ?
আরও পড়ুন : পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপিকা সহ চালকের
এক ঘন্টার বেশি ধরে চলে বিক্ষোভ। সামাল দিতে ছুটে আসে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। কোনক্রমে ওই মহিলাদের কাছ থেকে শান্তনু পাত্রকে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলতে সক্ষম হলেও মহিলারা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে। অবশেষে নির্দলের অপর প্রার্থী তথা বিদায়ী উপপ্রধান বিশ্বজিৎ কর্মকারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শান্তনুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় মহিলা অনিমা দাস বলেন, “আমরা সকলেই তৃণমূলের পুরনো কর্মী। এই শান্তনু পাত্র সহ বিজেপি থেকে আগত লোকজনের অত্যাচারে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল হয়েছি। আমরা জয়ী হয়েছি, শান্তনু তৃণমূলের টিকিটেও দাঁড়িয়ে হেরেছে।
তাই আজকে আমাদের লোকজনকে মেরেছে ওরা। আমরা সেটার জবাব চাইতে এসেছি।” ঘটনাস্থলে বিশ্বজিৎ কর্মকার পুলিশকে জানিয়েছেন, “বোর্ড গঠনে আমরা গিয়েছিলাম, সঙ্গে আরও কয়েকজন সমর্থকরা গিয়েছে। প্রশাসনের সামনেই মার হয়েছে। আমরা কি এই প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখব নাকি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই? রাস্তায় নামলে গণআন্দোলনের চেহারা এই পঞ্চায়েতে তৈরি হবে।” যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু পাত্র। তিনি বলেন, “কাউকে মারধর করা হয় নি। আমি পার্টি অফিসে বসেছিলাম, সেইসময় এসে আমাকে ঘিরে ধরে পার্টি অফিসের দরজা লাগিয়ে দেয়।”
আরও পড়ুন : স্নান করতে নেমে ক্ষীরপাই কেঠিয়া নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ ঘাটালের স্কুল পড়ুয়া
আরও পড়ুন : বিজেপির ঘাটাল-মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার তিন সভাপতিকেই পূনর্বহাল রাখলো রাজ্য বিজেপি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper