ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জেলায় প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর হার কমলেও উদ্বেগে স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার গ্রামীণ এলাকার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শনিবার মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালডাঙ্গা ও দেপাড়া সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মৌসুমী সোম, চিকিৎসক সংগ্রাম রায়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সাথে কথা বলেন জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারেঙ্গী। জেলা শাসক তাদের কাছে জানতে চান প্রতিটি গ্রামে কতজন ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন বা শিশু রয়েছেন। তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে প্রতিদিন রান্না হয় কিনা। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানিয়েছেন কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। সচেতনতা প্রচারে পাড়ায় বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেছেন।
Medinipur Sadar
পোর্টালে ঠিক মতো তথ্য আপলোড করতে পারেন কিনা তাও খতিয়ে দেখেন জেলা শাসক। তবে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পানীয় জলের সমস্যার কথাও জানান জেলা শাসককে। উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গত বছর ৬৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, এ বছর এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের। শিশু গত বছর ৯৬৩, এবছর ৬৫০। সংখ্যাটা কমলেও উদ্বেগে স্বাস্থ্য দপ্তর। চাইছেন শূন্য করতে এই মৃত্যুর হার।
মেদিনীপুর গ্রামীণ এলাকায় বাল্যবিবাহের ঘটনা এখনো লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে অল্প বয়সে কিশোরীদের মা হওয়ার প্রবণতা থেকে একাধিক জটিলতা পরিলক্ষিত করেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাদের সচেতনতার পাশাপাশি অল্প বয়সে গর্ভধারণ হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের চিহ্নিত করে সন্তান প্রসবের ১৫ দিন আগে শালবনীর “মাদার হাট”-এ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর পৌরবোর্ডের বর্ষপূর্তি উদযাপন পৌরসভার, কটাক্ষ বিরোধীদের
আরও পড়ুন : জ্বালানি সংগ্রহের নামে গাছ কাটার অভিযোগ মেদিনীপুর সদরে, বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর
তিনি বলেন, আগের থেকে জেলায় প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। আমরা চাইছি সংখ্যাটা শূন্য করতে। তার জন্য নিচুস্তর পর্যন্ত একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ঠিক মতো কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য এদিনের পরিদর্শন। এই ধরণের পরিদর্শন জেলা জুড়ে চলবে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Medinipur Sadar
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper