ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত কলেজে। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কলেজের পঠনপাঠন ৷ মঙ্গলবার কলেজ খুলতেই ছাত্র সংগঠনের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যেতে হল পুলিশকে। আহতদের ৩ জনকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেফার করতে হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এই সংঘর্ষে পরক্ষে অধ্যক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদ্যোত পাঁজা। তবে অস্বীকার অধ্যক্ষের। জানা গিয়েছে, কলেজে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই কেশপুর কলেজে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ছিল।
কিন্তু ছুটি থাকায় বিষয়টি চুপচাপ ছিল। মঙ্গলবার কলেজ খুলতেই ছাত্রছাত্রীরা প্রবেশ করে ৷ সেখানে বর্তমান টিএমসিপি ইউনিটের সাথে এই ইউনিটের প্রাক্তনদেরও প্রবেশ করতে দেখা যায়। বহিরাগতরা প্রবেশ করেছে বলে সাথে সাথে বর্তমান-রা অভিযোগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভূঁঞার কাছে। সেই অভিযোগ করাকে কেন্দ্র করেই বহিরাগত ও বর্তমান দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। মুহুর্তে লাঠি সোঁটা নিয়ে মারধরে রক্তারক্তি পরিস্থিতি তৈরী হয়ে যায়। ঘটনায় ৬ জন জখম হয়েছেন।
কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেশপুর পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হয়। কলেজের ভেতরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে হাজির হয় কেশপুর থানার পুলিশ। কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদ্যোত পাঁজা বলেন, “এই কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ করার সুযোগ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তার কারনেই এই গন্ডগোল হয়েছে। আমরা অধ্যক্ষের বিষয়েও প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।”
বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভূঁঞা ৷ তিনি বলেন, “কোনো কলেজেই কোনো অধ্যক্ষ বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেবে না। এটা ভিত্তীহীন অভিযোগ। এটা ছাত্র সংগঠনের দুটি গোষ্ঠীর লড়াই। তা থেকেই এই কান্ড হয়েছে। আমাকে মাঝখানে জড়ানো হচ্ছে। আমি পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”