Birenda Bridge : মুসলিম কবরস্থানের সামনে বর্জ্য পদার্থ ফেলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায়। ওই এলাকায় একটি মুসলিমদের কবরস্থান রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে কেউ বা কারা প্যাকেট করা নানা বর্জ্য ফেলে যাচ্ছিলেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জাতীয় সড়কে কংসাবতী নদীর উপরে থাকা দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরেন্দ্র শাসমল সেতু। কয়েক বছর ধরেই সেতুর অবস্থা বিপদজনক আঁচ করে শুরু হয়েছিল সংস্কার। তাতেও পরিস্থিতি খারাপ দেখে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সেতুর উপর দিয়ে ৮ টনের বেশি ভারি গাড়ি চলাচল।
ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক আয়েশা রানী। কিছুদিন ঠিকঠাক চলার পর রাতের অন্ধকারে ফের ভারি যানবাহন চলাচল করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাতে অতর্কিতে হানা দিলেন জেলা শাসক। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা এগারোটি পণ্যবাহী লরিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জানা গিয়েছে, কাউকে কিছু না জানিয়ে, নিজের গাড়ির হুডের আলো নিভিয়ে হাজির হন ৬০ নং জাতীয় সড়কের ধর্মা ও সেতু সংলগ্ন এলাকায়। নিজে হাত দেখিয়ে লরিও দাঁড় করিয়েছেন জেলা শাসক। লরি চালকদের বিভিন্ন কাগজপত্র ও ওজনের পরিমাণ দেখতে চান। জেলা শাসক জানিয়েছেন, “আমার কাছে এলাকাবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভারি গাড়ি চলাচলের।
অভিযোগ আসায় আমি নিজে দেখতে গিয়েছি গাড়ি গুলো যাচ্ছে কিনা। আপাতত যে সময় গিয়েছিলাম, সেসময় কোন গাড়ি পার হয়নি। কিন্তু কয়েকটা গাড়ি সন্দেহ ভাবে দেখলাম পাশেই পার্কিং করেছিল। ওই গাড়িগুলির ওজন চেক করছি। যদি আমাদের রেস্ট্রিকশনের উপরে থাকে, কেন কোন দিকে যাওয়া হচ্ছিল আমরা হিয়ারিং করব।
আমারও সন্দেহ লাগছে যখন আমাদের অফিসার ওদের সাথে কথা বলেছে, তখন দেখলাম গাড়িগুলো যে ডাইরেকশন বলছে, অবশ্যই ব্রিজের উপরে যাওয়ার জন্যই লক্ষ্য ছিল। এখন আমরা দাঁড় করিয়ে ওজন পরীক্ষা করছি।” স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিদিনই গভীর রাতে এই সেতু দিয়েই ভারি গাড়ি চলাচল করে।
বিজেপি নেতা শংকর গুছাইত বলেন, “টাকা নিয়ে ভারি গাড়ি পাশ করানো হচ্ছে রাতের অন্ধকারে। এতে দুর্বল সেতু যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আসলে তৃণমূল কাটমানির সরকার তা আবার প্রমাণ করছে।” বিজেপির অভিযোগ করা ছাড়া কাজ নেই বলে কটাক্ষ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার। তিনি বলেন, “প্রশাসন সর্বদা সতর্ক আছেন। জেলা শাসক যেভাবে নিজে উপস্থিত হয়ে খতিয়ে দেখছেন তাতে ওনাকে ধন্যবাদ জানাই।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Birenda Bridge
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper