ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ১২০০ কোটি টাকা খরচের অনুমোদনও মিলেছে।এই খবরে খুশি হলেও ঘাটালবাসী চাইছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হোক দ্রুত।এদিকে কেন্দ্রের আর্থিক অনুমোদন মেলায় তা নিয়ে ঘাটালে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।বামেদের দাবি ললিপপ দেখানো হচ্ছে ঘাটালবাসীকে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল থেকে বিজেপি একে অপরকে।
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের আর্থিক অনুমোদনের খবরে খুশি ঘাটালবাসী।প্রতিবছর বর্ষায় প্লাবিত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা।বন্যার জলে প্লাবিত হয় রাজ্যসড়ক থেকে গ্রামীন সড়ক। লক্ষ লক্ষ মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েন।বিশেষ করে ঘাটাল ব্লকের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০ টি জলের তলায় চলে যায় পাশাপাশি ঘাটাল পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশই প্লাবিত হয়।এর সাথে ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা ও দাসপুরেরও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
ঘাটাল ১৯৮২ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সেচমন্ত্রী প্রভাস রায় ঘাটাল শিলাবতি নদীর পাড়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের শিলান্যাস করেন।তারপর কয়েক শতক কেটে গিয়েছে শিলাবতী নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল।পট পরিবর্তন হয়েছে নানা রাজনৈতিক দলের।ঘাটালবাসীর অভিযোগ প্রতিবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।অবশেষে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের আর্থিক অনুমোদন পাওয়ায় খুশি ঘাটালের বানভাসি মানুষ। তবে ঘাটালের বানভাসি মানুষের দাবি একাধিকবার প্রতিশ্রুতি মিলেছে কিন্তু কাজ হয়নি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়নের দ্রুত দাবি তুলছেন ঘাটালের বানভাসি মানুষ।যদিও এই টাকা বরাদ্দের পরে ঘাটাল জুড়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ঘাটালের সিপিএম নেতা উত্তম মন্ডল মাস্টার প্লান নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন ও আর্থিক বিভাজন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন,ঘাটাল মাস্টার প্লান কার্যকর হলে আমরা খুশি শুধু ঘাটাল নই জেলার একটা বড়ো অংশ উপকৃত হবে।কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য যা টাকা ধরা উচিত এই ঘোষণার সাথে তার কোনও অংশে মিল নেই।এটা শুধুমাত্র ললিপপ দেখানো হচ্ছে জনগনকে।”এদিকে মাস্টার প্লান কার্যকর না হওয়ার জন্য তৃণমূল সরকার তথা রাজ্যকেই কাঠগড়ায় তুলছেন ঘাটাল বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।
এবিষয়ে তিনি বলেন,কেন্দ্র মোদি সরকার আগেও ঘাটাল মাস্টার প্লান রূপায়নে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে কিন্তু রাজ্য সরকার গড়িমসি করে কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে এড়িয়ে গেছে।ঘাটালবাসী তথা রাজ্যবাসীর দাবি ছিল মাস্টার প্লান কার্যকর হোক ১২০০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়ে মোদি সরকার তার দায়িত্ব পালন করেছে।”যদিও বিরোধীদের সমস্ত দাবি খারিজ করে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝি অবশ্য কেন্দ্রের আর্থিক অনুমোদনের বিষয় এড়িয়ে গিয়ে মাস্টার প্লান রূপায়ন হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই এমনই পাল্টা দাবি করেন।
তিনি বলেন,যতটুকু শুনেছি আর্থিক অনুমোদন হয়নি এটি প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে।তবে কে কি বললো আমরা তাতে কান না দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আগেই ঘাটাল মাস্টার প্লানে ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন এবং বেশকিছু কাজও চলছে।ঘাটালবাসী ও রাজ্যের মানুষ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছে আর তার হাত ধরেই ঘাটাল মাস্টার প্লানের কাজ সম্পন্ন হবে।
তবে কেন্দ্র সরকার যদি সহযোগিতা করে তাকে স্বাগত।”তবে রাজনৈতিক তরজা বা কেন্দ্র রাজ্যর টানাপোড়েন যাই হোক প্রতিবছর বন্যায় চরম দুর্ভোগ ও যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয় ঘাটালবাসীকে।বর্ষার মরসুম শুরু হয়েছে,এবারের বর্ষায় তাদের জন্য কি দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে অজানা ঘাটালবাসীর।তবে আর্থিক অনুমোদন যদি মিলে থাকে তাহলে দ্রুত কাজ শুরু হোক চাইছেন ঘাটালের বানভাসি মানুষ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Ghatal Master Plan
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore