আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে, বৌমা এবং নাতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুরা এলাকায়। বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছেন। নিজের দুই ছেলে। বড় ছেলে বংশী ঘোষ কলাইকুন্ডা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ছোট ছেলে শশী ঘোষ মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন! শ্বশুরবাড়ির ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
বৌমা ও নাতি থাকেন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন নেপুরাতে। নাতিও সদ্য বিয়ে করেছেন। দুই ছেলের পরিবারেই পালা করে দিন কাটছিল এতদিন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতাও বাড়ে। এরপরই দুই ছেলের পরিবার কেউ বৃদ্ধাকে আশ্রয় দিতে চাননি বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই বৃদ্ধা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে থাকতেন। কিছুদিন বড় ছেলের কাছে গিয়েও থেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন : কঠিন শ্রমের ফল, UPSC তে ৯৪ তম স্থানে মেদিনীপুরের ইন্দ্রাশিস
Medinipur Sadar
সেখানে বার্ধক্য ভাতা টাকা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এসে আবার ছোট ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানে ঠাঁই না পেয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল বিদ্যালয়ে। কখনও পরিবারে আবার কখনও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জুটত খাবার। ছোট ছেলের মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছে, “বাবা মারা যাওয়ার পর ঠাকুমার দায়িত্ব জ্যেঠু নিয়েছিল। আপনারা রেখে দিয়ে গেলেন, কোনো সমস্যা হলে আপনাদের বলব।”
আরও পড়ুন : ৪০০ কৃষকের ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ঝাড়গ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ২ মধ্যস্থতাকারীর বিরুদ্ধে
জ্যেঠু কর্তব্য পালন না করলে কি ছোট ছেলের পরিবারের কোনো কর্তব্য নেই? স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আর একজনকে বাড়িতে রাখা যেতই। ঘটনার খবর পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশে। গুড়গুড়িপাল থানার ওসি শুভঙ্কর রায় এসে ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে ফেরান। স্থানীয় জানান, পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে বাড়িতে আশ্রয় না দিলে ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি রেশন সহ কোনরকম সমস্যা হলে বিষয়টি দেখবেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Medinipur Sadar
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore