Post Office
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নানান স্থানে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্য। কোন কোন স্থাপত্য তার অস্তিত্ব জানান দেয় স্বমহিমায়। আবার কোন কোন স্থাপত্য অবহেলা অনাদরে ধ্বংসের মুখে। এ রকমই একটি স্থাপত্য ভারতবর্ষের তথা এশিয়ার প্রথম ডাকঘর। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আগে এখানে পর্তুগীজদের আধিপত্য ছিল, তবে অবশ্যই প্রশাসনিক নয়, এক্কেবারে বাণিজ্যিক। আর কাঁথি মহকুমার খেজুরি সেইসময় ছিল এক বন্দর। যদিও তখন তার খ্যাতি ছিল কেডগিরি হিসেবেই।
আরও পড়ুন:- ১৫ ডিসেম্বর থেকে স্কুলে আসতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের , নির্দেশ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক সংসদের
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুটআউটের ঘটনায় গ্ৰেফতার ৩
১৭৫০ সালে ভারত তথা বাংলার বাজারে তখন ডাচ-ওলন্দাজ বণিকদের আধিপত্য । খেজুরি, ডায়মন্ড হারবার, কুঁকড়াহাটি একাধিক বন্দর থেকে লবণ, মশলা, নীল একাধিক জিনিস জলপথে রপ্তানি হত । ব্যবসার খাতিরেই প্রয়োজন অনুভূত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার । আর সেই তাগিদেই ১৭৭২ সালে খেজুরিতে দেশের সর্বপ্রথম ডাকঘর গড়ে ওঠে । যদিও এনিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে ।
আরও পড়ুন:- দুই মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের পৌর আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে ‘সুডা’, উপভোক্তাদের দেওয়া হল প্রকল্পের বাড়ির চাবি
Post Office
একাংশের মতে, জেনেরাল পোস্ট অফিস বা GPO হল প্রথম ডাকঘর । যা ১৮৬৮ সালে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের একাংশে স্থাপিত হয় । একাংশের মতে, ১৭৬৪ সালে তৎকালীন বোম্বেতে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির তরফে গড়ে উঠেছিল ভারতের প্রথম ডাকঘর । কিন্তু ইতিহাসের পাতা ওলটালে, তথ্য প্রমাণ ঘাঁটলে দেখা যায়, তারও বহু আগে খেজুরির ডাকঘরটি গড়ে উঠেছিল । ১৮৫১ সালে খেজুরির এই ডাকঘর থেকেই টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা শুরু করেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডব্লু বি ও গণেশ সাউ ।
আরও পড়ুন:- শালবনীর ভাদুতলাতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মহিলার, জখম ৩
১৮৫২ সালে টেলিগ্রাফে যোগাযোগ শুরু হয় । ১৮৫৫ নাগাদ এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায় ।যথাযথ পদক্ষেপ ও উদাসীনতার কালগর্ভে একসময় হারিয়ে গেছে সবকিছু । দু’একবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি এসেছিল । ইন্দিরা গান্ধির আমলে তৎকালীন বিধায়ক সুনির্মল পাইকের অনেক প্রচেষ্টায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার । কিন্তু তা কাগজ-কলমে থেকে যায় । আর এগোয়নি সংস্কারের কাজ। আর এখন সেই ইতিহাসকে জীবন্ত করার আশায় রয়েছে কেডগিরি মানে খেজুরির মানুষ।
আরও পড়ুন:- কৃষি ঋণ মুকুবের দাবিতে সমবায় সমিতিতে বিক্ষোভ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে ডেপুটেশন চন্দ্রকোনা বিডিও অফিসে
স্থানীয়দের একাংশের কথায়, এই ডাকঘরটি নিয়ে স্থানীয় বা জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । সংস্কারের আশ্বাস এসেছে কিন্তু কাজ এগোয়নি । আপাতত লতাপাতার জঙ্গলে জীর্ণ শরীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের প্রথম ডাকঘর। আর এখন যার বর্তমান বয়স প্রায় আড়াইশ বছরের কাছাকাছি। কিন্তু আজ স্থান পায়নি পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন মানচিত্রে। ফলে অবহেলা অনাদরে ধ্বংসের মুখে প্রাচীন স্থাপত্য।
আরও পড়ুন:- ক্ষতিপূরণের দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে বন দফতরে বিক্ষোভ, আশ্বাসে উঠল অবরোধ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Post Office
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: There are various historical architectures scattered in different places of East Midnapore district. Some architecture reveals its existence in its glory. Again, some architectural neglects are facing destruction. Such architecture is the first post office in India and Asia. Before the establishment of British rule in India, it was dominated by the Portuguese, but of course not administratively, but commercially. And Khejuri in the Kanthi subdivision was a port at that time. Although at that time his reputation was as Kedgiri.
In 1750, the market of India and Bengal was then dominated by Dutch-Dutch merchants. Khejuri, Diamond Harbor, Kunkarahati, salt, spices, indigo, and many other things were exported by sea. The communication system is needed for the sake of business. After that, In 1772, the first post office of the country was established in Khejuri. Although there are differences of opinion.
According to some, the General Post Office or GPO is the first post office. Which was built in 1868 in one part of Fort William. According to some, the first post office of India was established in 1764 by the East India Company in then Bombay. But when the pages of history are turned, the evidence shows that the post office of Khejuri was established long before that. After that, Professor WBO Ganesh Sau of Calcutta Medical College started the telegraph system from this post office in Khejuri in 1851.
Telegraph communication began in 1852. By 1855, a natural disaster had destroyed almost everything. Once or twice the promise came from the central government. During Indira Gandhi’s tenure, the then government took the initiative to reform with the efforts of the then MLA Sunirmal Pike. But it remains on paper. And the work of reform has not progressed. And now Kedgiri means the people of Khejuri are hoping to bring that history to life.
According to some locals, no action has been taken by the local or district administration on the post office. Assurances of reform have come but work has not progressed. As a result, at present, India’s first post office is standing in a dilapidated body in a forest of herbs. And now whose current age is around two and a half years. But today it has not found a place in the tourist map of West Bengal or East Midnapore district. As a result, ancient architecture in the face of neglect and disrespect.