School Under Water
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: দেশ জুড়ে থাবা বসিয়েছিল মারণ ভাইরাস করোনা। গোটা দেশ হয়ে গিয়েছিল স্তব্ধ। স্কুল, কলেজ এবং বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঝুলেছিল তালা। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত্ নিয়ে উঠেছিল তুমুল আশঙ্কা। অবশেষে কোভিড বিধি মেনে আগামী ১৬ নভেম্বর খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় খুশীর হাওয়া শিক্ষক-অভিভাবক থেকে ছাত্র ছাত্রী সব মহলেই। তার মধ্যেও এখনই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। কারণ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একশোর বেশি স্কুল এখনও জলমগ্ন।
আরও পড়ুন:- নয়াগ্রামে জমিতে হাতি তাড়ানোর বৈদ্যুতিক তার লেগে যুবকের মৃত্যু
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ক্যানসার আক্রান্ত যুবকের বিরল অপারেশন চিকিৎসকদলের
ভগবানপুর ছাড়াও ময়না, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে অনেক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল জলের তলায়। ভগবানপুরে বেশকিছু স্কুলে দুর্গতরা এক মাসের বেশি সময় রয়েছেন। স্কুল খুললে দুর্গতরা কোথায় যাবেন তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন। জেলায় ৪৬৩টি উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৮১টি মাধ্যমিক স্কুল খোলার কথা। বিশেষ করে ভগবানপুর-১ ব্লকের কোটবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চড়াবাড় গার্লস হাইস্কুলের দেড়শো জন গত ১৮সেপ্টেম্বর থেকে আশ্রয় নিয়েছেন। কলাবেড়িয়া বাজার পেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য হাঁটুর উপর প্যান্ট গোটাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে কোটি টাকার মাছ! ভিড় উৎসুক পর্যটকদের
স্কুলের নীচেরতলায় জল থইথই করছে। দোতলা ও তিনতলায় মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন। এভাবেই কলাবেড়িয়া, আশুতিয়া, হিংচাগেড়িয়া, সরবেড়িয়া, বিভীষণপুর, দ্বারিকাপুর, শঙ্করপুর, জলুইবিষ্ণুপুর, গোপীমোহনবাড়, কাকড়া, কাজলাগড় হাইস্কুলে এখনও কয়েক হাজার দুর্গত আশ্রয় নিয়ে আছেন। অনেক স্কুলের গ্রাউন্ড ফ্লোর পুরোপুরি জলের তলায়। আবার কোথাও স্কুল থেকে জল গড়ালেও ঘরবাড়ি জলমগ্ন থাকায় গ্রামবাসীরা স্কুলঘরে ঠাঁই নিয়েছেন। এখন স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু হতেই উদ্বিগ্ন হচ্ছেন দুর্গতরা।
আরও পড়ুন:- শালবনীতে সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ শতাধিক কর্মীর
স্থানীয় বাসিন্দা অনন্ত জানা বলেন, বন্যার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। এটা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। আগামী ১৬নভেম্বর থেকে স্কুল খুলবে। তারপর কোথায় যাব জানি না। এখনও জল নামেনি। নিকাশির অব্যবস্থার খেসারত দিচ্ছি আমরা।রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি এখনও জলের তলায় ডুবে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনো ভাবেই বাড়িতে ফেরা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:- কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে কিষাণ জাঠা
জেলা শিক্ষা আধিকারিক শিল্পী সিনহা বলেন, আমাদের জেলায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬৪৪টি স্কুল খুলবে। তার প্রস্তুতি চলছে। বেশকিছু স্কুল প্রেমিসেসে জল আছে। তবে, ১৫নভেম্বরের মধ্যে জল নেমে যাবে বলে আশা করছি। অপরদিকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, কিছু স্কুল প্রাঙ্গণে জল আছে। আবার কিছু স্কুলে দুর্গত মানুষজনও আছেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আছে। আমরা মনে করছি, ১৫নভেম্বরের মধ্যে জল কমে যাবে। দুর্গতরা প্রত্যেকে বাড়ি ফিরে যাবেন।
আরও পড়ুন:- করোনায় রাশ টানতে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের ১২ টি এলাকায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
School Under Water
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Coronavirus or Covid19 has spread across the country. The whole country was stunned. Schools, colleges, and other educational institutions were locked. There were great fears about the future of the students. Finally, following the rules of Covid, the school college is going to open on November 16. Chief Minister Mamata Banerjee’s announcement made everyone happy, from teachers to parents. Some of them are also questioning the decision to open a school now. Because more than one hundred schools in East Midnapore district are still submerged.
Apart from Bhagwanpur, many secondary and higher secondary schools in Maina, Panshkura, Kolaghat and Shahid Matangini blocks are underwater. The victims have been in several schools in Bhagwanpur for more than a month. The administration is uneasy about where the victims will go when the school opens. 463 higher secondary and 181 secondary schools are to be opened in the district. In particular, one and a half hundred students of Charabar Girls High School in Kotbar Gram Panchayat of Bhagwanpur-1 block have taken shelter since last 18 September. I have to get my pants on my knees to go to school after crossing Kalaberia Bazaar.
The water is boiling on the ground floor of the school. For this reason, People have taken shelter on the second and third floors. Similarly, Kalaberia, Ashutia, Hingchageria, Sarberia, Vibhishanpur, Dwarikapur, Shankarpur, Jaluibishnupur, Gopimohanbar, Kakra, Kajlagarh high schools are still sheltering thousands of victims. The ground floor of many schools is completely under water. The villagers have taken shelter in the school house as the houses are submerged even though water is flowing from the school somewhere. Now the victims are worried about the opening of the school.
Local resident Ananta Jana said, “I have taken shelter in this school since the afternoon of September 17 after the floods.” It’s high school. The school will open from November 16. Then I don’t know where to go. The water has not come down yet. We are compensating for the mismanagement of drainage. Roads and houses are still submerged under water. In this situation it is not possible to return home in any way.
District Education Officer Shilpi Sinha said a total of 644 schools from class IX to XII will be opened in our district. His preparations are underway. There is water in several school premises. However, I hope the water will go down by November 15. On the other hand, District School Inspector (Secondary) Shubhashis Mitra said that there is water in some school premises. There are also victims in some schools. The matter is under the notice of the administration. We think the water will go down by November 15. The victims will each return home.