Flood
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: এবার আর শিলাবতী নদীতে গিয়ে মহালয়ার তর্পণ করতে দেখা গেল না পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালবাসীকে। বন্যায় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জলেই সারল পিতৃ তর্পণ। বিদ্যুৎ না থাকায় টিভির কেবল লাইন বন্ধ। ফলে মহালয়া শুনতে ভরসা রেডিও। নৌকায় বসেই রেডিওতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চেনা কন্ঠে মহালয়া শুনছেন বানভাসি ঘাটালের মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ সামন্ত বলেন, এবার পুজো বলে মন হচ্ছে না ৷ কেউই পুজো নিয়ে তেমন ভাবছেন না। মানুষের এখন খেতে পাওয়া নিয়েই চিন্তা ৷ পুজো যেনো ‘বিলাসিতা’ সকলের কাছে। তিনমাস জলবন্দী রয়েছে ঘাটালবাসী। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার হোসেনপুর এলাকাতে বহু পুরনো প্রচলিত সার্বজনীন দুর্গোৎসবের প্যান্ডেল এবার জলে ডুবে। চতুর্থবারের প্লাবিত পরিস্থিতিতে পুজো মন্ডপে এখনো কোমর সমান জল। হতাশ উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন:- কোভিডের পর অপারেশন পরিষেবা চালু হল শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে
আরও পড়ুন:- বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম ৫
আরও পড়ুন:- পাস করেও দীর্ঘ ২৪ বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুরে ১১ জন পেলেন প্রাথমিকে নিয়োগপত্র, দুষলেন সিপিএমকে
প্লাবিত এলাকার মানুষের মনে কিছুটা হলেও পুজোর আনন্দ দিতে জলে ভাসমান অবস্থায় স্থান দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে প্রতিমা ও পূজার সামগ্রীকে। প্রয়োজনে প্রতিমাকে ভেলাতে হলেও ভাসিয়ে পুজোর আয়োজন করা হবে বলে জানালেন পুজো কমিটির সভাপতি অশোক কুমার সিনহা ৷ তিনি বলেন, বন্যায় জলের যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে না কমবে ৷ তবে চেষ্টা করব জলে ভাসমান অবস্থায় হলেও প্রতিমা পুজোর। পাশাপাশি আর্থিক সংকটে সেভাবে পুজোর আয়োজনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুজো কমিটিগুলি প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন আর্থিক সাহায্যের জন্য। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল মহকুমাতে বুধবার পর্যন্ত ১৫৭ টি পুজো কমিটি আবেদন করেছেন পুজোর অনুমতি চেয়ে। যা গতবারে আরও একটু বেশি ছিল।
আরও পড়ুন:- স্বাস্থ্য সংগঠনের জেলা সম্মেলন মেদিনীপুরে, উঠে এল ‘অজানা জ্বরের’ বিষয়
আরও পড়ুন:- কৃষক হত্যার প্রতিবাদ পশ্চিম মেদিনীপুরে, পোড়ানো হল প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Flood
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: This time the people of Ghatal in West Midnapore were not seen going to the Shilabati river to pay homage to Mahalaya. In the flood, standing in front of the house is the simple father’s tarpan. The only line of the TV is off due to lack of electricity. As a result, Mahalaya listens to Radio. The people of Banavasi Ghatal are listening to the famous voice of Birendra Krishna Bhadra on the radio while sitting in the boat. Local resident Anup Samanta said, “I don’t feel like saying puja this time.” No one thinks so much about worship. People are worried about getting food now Pujo is like ‘luxury’ to everyone.
Ghatal residents have been detained for three months. In the Hossainpur area of Daspur police station in West Midnapore, the pandal of many old traditional public Durgotsab will be submerged in the water this time. The Pujo mandapa is still waist-deep water in the fourth flooded situation. Disappointed entrepreneurs. Attempts have been made to place idols and objects of worship floating in the water to give pleasure to the people of the flooded area.
Ashok Kumar Sinha, president of the puja committee, said the puja would be organized by floating the idol if necessary. He said the flood water situation does not seem to be decreasing But I will try to worship the idol even if it is floating in the water. Besides, in the financial crisis, the organization of Pujo is struggling. Pujo committees are approaching the administration for financial assistance. According to administration sources, 157 puja committees in Ghatal sub-division have applied for puja permission till Wednesday. Which was a little more last time.