Panchayat Samiti
আরও পড়ুন ঃ–পশ্চিম মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন থেকে চম্পট দিল ৩ আবাসিক, তদন্তে পুলিশ
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা(Egra) ২ ব্লক(Block) অফিসে একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয় মঙ্গলবার। তবে কোভিড – ১৯ এর কথা মাথায় রেখে কোভিড বিধি মেনে এগরা ২ ব্লকের বালিঘাই(Balighai) বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলিতে সরকারি গাছ কাটার অনুমতি দীর্ঘ দিন না দেওয়া ,ভূমিহীনদের পাট্টা প্রদান না করা ,পঞ্চায়েত সমিতির দুই প্রতিনিধিকে এযাবত কোন প্রকার কাজ না দেওয়া, রাস্তাঘাট প্রচুর পরিমানে খারাপ থাকা সত্ত্বেও কাজের সহযোগীতা না করা ,এবং পঞ্চায়েতে প্রশাসনিক কাজে বিডিও’র(Bdo)পক্ষপাতিত্ব করা হয় তা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এমন একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে এগরার(Egra) বালিঘাই ২ নং ব্লকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী করা হয় বিবেকানন্দ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের পক্ষ থেকে। তবে ওই ব্লকের বিডিও(Bdo) পাশে থেকে তাঁদের দাবি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিলে তাঁরপর অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী ওঠে। বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাজানারায়ন মান্নার নেতৃত্বে এই অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়।
এ বিষয়ে এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ প্রধানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান- পঞ্চায়েত সমিতির ৮ টি পঞ্চায়েতের সবগুলি তৃণমূল (Tmc)পরিচালিত। এখানে কাউকে আলাদা চোখে দেখার অভিযোগ ভিত্তি হীন। এই অবস্থান নিয়ে কোন ভাবেই দলের সঙ্গে বা পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে উনি আলোচনা করেন নি। গাছ বিক্রয় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় পঞ্চায়েতকে ভাবতে হবে ।
অপরদিকে এ বিষয়ে বিডিও (Bdo) কৌশিশ রায় জানান, এইব্লকের ৭টি পঞ্চায়েত নিয়ম-নীতি মেনে চললেও উনি কোনো নিয়মনীতির ধার ধারেন না, নিয়ম বহির্ভূত কাজ করলে প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে আমি তা মেনে নিতে পারি না, আমার থেকে সে বাধা শুধু উনি কেন সব পঞ্চায়েতে থাকবে। বিভিন্ন প্রাপক তালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও তিনি যা করেন তাঁর অন্য সদস্যরা এসে বিরোধিতা করে বিকল্প তালিকা প্লেস করেন। গাছ বিক্রির প্রশ্নে তিনি জানান- ঐ গাছ পঞ্চায়েত লাগিয়েছে এমন প্রমাণ নেই, গাছগুলি বনদপ্তর(Forest) লাগিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি অনুমতি দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই বিষয়টি প্রধানের উপরে ছেড়ে দেওয়া যায় না। আর উন্নয়নের প্রশ্নে অন্য প্রধান(Chief)যে টাকা পান উনিও তাইপান,এখন পঞ্চায়েতের হাতে বেশি টাকা আসে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কেবল পঞ্চায়েত নয় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত দায়বদ্ধ। কিছু রাস্তাঘাট পঞ্চায়েত করবে, কোনটি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ করবে তার তালিকা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নজরে দেওয়া হয়েছে,বরাদ্দ এলে কাজ হবে। চেয়ারে থেকে দলবাজির প্রসঙ্গে বিডিও জানান- এই অবান্তর অভিযোগ যিনি করেছেন তিনি বলতে পারবেন। ৮ পঞ্চায়েতের থেকে উনি যে পৃথক আচরণ করছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন চললে সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজনারায়ণ মান্না বলেন, গত ৩ বছর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন তাদের লাগানো গাছ বিক্রিতে অনুমতি দিচ্ছেন না। ফলে এলাকার উন্নয়নে, রাস্তা নির্মাণে, ব্রীজ সংস্কারে পঞ্চায়েত পিছিয়ে।এমন কি পঞ্চায়েত এলাকার ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের মধ্যে রাধারানী দাস ও সাধনা রানী দাস কে উন্নয়নে শরিক না করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমান ট্রেন্ডারে পঞ্চায়েতগুলি ৭-৮টি করে কাজের সুযোগ পেলেও বিবেকানন্দ(Vivekananda)পঞ্চায়েতকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁথি(Contai) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির(Bjp) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, এখন এরাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের(Tmc )। “তোর অধে মোর অধে” এই নীতিতে তৃণমূল বিশ্বাসী। এরা যতদিন থাকবে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Panchayat Samiti
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore