পত্রিকা প্রতিনিধি : বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলাতেও তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিরোধী দলের অনেক কর্মীরা। এমন অভিযোগ রয়েছে। এবার তৃণমূলের সন্ত্রাসে তৃণমূলের লোকজনই ঘরছাড়া থাকার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল। ঘটনাটি নারায়ণগড়ের (Narayangarh) মকরামপুর পঞ্চায়েতের (Makrampur Panchayat) ধানঘোরি (Dhanghori) এলাকার। মহিলা-সহ ছেলেপুলেদের নিয়ে কেলেঘাই (Keleghai River) নদীর পাড়ে তাঁবু খাটিয়ে একমাসেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। এমনই অভিযোগ তুলেছেন ঘরছাড়া লোকজন। আর অভিযোগের তীর শাসক দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
তাদের অভিযোগ, লাগাতার লুটপাট ও সন্ত্রাস চালায় বর্তমান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শীট (Lakshmi Shit) ও তার দলবল। বাঁচতে বাড়ি ছাড়তে হয়। এলাকা থেকে দূরে নদীর পারে তাঁবু খাটিয়ে বিপদের মধ্যে দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। বৃষ্টির মধ্যেও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে। তাদের দাবি, তারা তৃণমূল করতেন। তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি নাকফুড়ি মুর্মুর (Nakfuri Murmu)অনুগামী বলেই পরিচিত। বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেয় লক্ষ্মী শীট। না বলায় তাদের উপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লক্ষ্মী। তিনি বলেন, যারা ঘর ছেড়েছেন তারাই এলাকায় সন্ত্রাস ও লুটপাট করেছে। এখন পুলিশ থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। যারা ঘরছাড়া তারা সকলেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।
অন্যদিকে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি নাকফুড়ি মুর্মুর বলেন, তার সাথে থেকে কাজ করাতে তাদের উপর লক্ষ্মীর অনুগামীরা আক্রমণ নামিয়ে আনে। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ভোটের পর আমাদের কর্মীদের মেরেছে। এখন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেরা নিজেদের মারছে। দুইপক্ষ অ্যান্টিসোশ্যাল। সূত্রের খবর যদিও লক্ষ্মী ও নাকফুড়ির বিবাদ অনেক দিনের। এতগুলো পরিবার ঘরছাড়া কি সত্যিই লক্ষ্মীর কারণে নাকি তারা পুলিশের ভয়ে গ্রামছাড়া। যদিও অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজনীতি।