Police transfer
আরও পড়ুন ঃ–অক্টোবরের মধ্যেই উন্নয়নের ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার কাজ শেষ করার লক্ষ্য শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির
শুভম সিং: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বঙ্গ রাজনীতির সুবিখ্যাত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির ‘অধিকারী’রা। তাদের দীর্ঘ জীবনযাপন শহরের ‘শান্তিকুঞ্জ’ নামে এক বাড়িতে। তবে সেই বাড়ি থেকে আচমকাই একসঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৩২জন রাজ্য পুলিশের কর্মীকে বদলি করা হয়েছে রাতারাতি। ইতিমধ্যে ১৬জন করে দুই ভাগে ভাগ করে ওই পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায়।ওই দুই জেলা থেকে আবার সমসংখ্যক পুলিশকর্মী আনা হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। তবে অধিকারীদের বাড়ির নিরাপত্তায় আর কোনও রাজ্য পুলিশের কর্মী থাকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে! তবে একই সঙ্গে এত পুলিশ কর্মীর এই বদলির পিছনেই কী লুকিয়ে রয়েছে শান্তিকুঞ্জের কোনও বাসিন্দাকে গ্রেফতারির কোনও সম্ভাবনা!
উল্লেখ্য, ৩২জন পুলিশকর্মীকে বদলি করা হয়েছে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই ‘শান্তিকুঞ্জ’র নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মোতায়েন থাকায় তাঁদের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সদস্যদেরও সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও সেই সুসম্পর্কে কোনও দাগ পড়েনি। কিন্তু এবার সেই ৩২জনকে ভিন্ন জেলায় বদল করে জেলার পুলিশমহলেও অধিকারীদের নিয়ে নবান্ন কড়া বার্তা দিল বলেই এখন অনেকে মনে করছেন। তবে এখন যে প্রশ্নটা উঠছে তা হল, এই ৩২জন পুলিশকর্মীর জায়গায় রাজ্য সরকার কী আর কোনও পুলিশকর্মী অধিকারীদের বাড়ির নিরাপত্তায় মোতায়েন করবে নাকি একদমই সব নিরাপত্তা তুলে নিল? এই প্রশ্নের উত্তর মেলার আগেই এখন অনেকেই মনে করছেন, অধিকারীদের বিশ্বস্ত পুলিশকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার পিছনে বড় কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে রাজ্যের।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরির ঘটনায় শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর নাম জড়িয়ে যায়। আর সেই ঘটনার পর শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারী’র বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফ আই আর দায়ের হয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তবে শুভেন্দু সেই মামলা খারিজের আপিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেও সেই আবেদন খারিজ করে ত্রিপল চুরির মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।
এখন অনেকেই মনে করছেন, অধিকারীদের বাড়ি থেকে পুলিশি নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার পিছনে শান্তিকুঞ্জে পুলিশি অভিযানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ত্রিপল চুরির মামলায় পুলিশ যে কোনও সময় সেখানে হানা দিয়ে শুভেন্দু বা সৌমেন্দুকে তুলে আনতেই পারে। শুভেন্দুর সঙ্গে তবু কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তারওপর তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিছুটা হলেও প্রোটোকলের সুবিধা তিনি পাবেন। কিন্তু সৌমেন্দুর কিছুই নেই, কোনও সুবিধা পাবেনও না। প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন এই বদলির পিছনে কী লুকিয়ে রয়েছে গ্রেফতারির কোনও সম্ভাবনা? তাই কি এই ৩২জন পুলিশ কর্মীর বদলির ঘটনা ? । তবে এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Police transfer
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore