পত্রিকা প্রতিনিধিঃ দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ । ভয়ংকর হারে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। ক্রমশই জটিল আকার নিচ্ছে করোনা চিত্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩৫ জন। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৬২৯ , পূর্ব মেদিনীপুরে ৯২৪ ও ঝাড়গ্রামে ১৮২ জন। অপরদিকে এই ৩ জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৬১৪ জন । তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কোভিডের বলি হয়েছে ৪ জন বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের দাপট গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। যদিও, রাজ্যে প্রায় লকডাউন ঘোষণা করার পর কিছুটা সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। তাদের মতে আগামী ১৫দিন পর থেকে এই লকডাউনের প্রভাব জানা যাবে।
তবে রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও সমস্যা রয়েছে। টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে এই সমস্যা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি লিখে রাজ্যের জন্য ভ্যাকসিন চান। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যের মানুষদের তা বিনা পয়সায় দেবে। কিন্তু কেন্দ্রের কাছ থেকে সেই চিঠির কোনও সদুত্তর রাজ্য পায়নি। তাই আশা করা যাচ্ছে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এই প্রসঙ্গটি তুলে ধরবেন। রাজ্যের ভ্যাকসিনের যে ঘাটতি রয়েছে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তুলে ধরার পর বাস্তবে কতটা সমাধানের রাস্তা বার হয় সেটা দেখার। এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণের হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তবে সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল দেশের যে সব জেলার করোনা সংক্রমণের হার ১০%-র বেশি, সেই সব জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা প্রয়োজন।