পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ‘‘ভোট দান গণতান্ত্রিক অধিকার। আর করোনাকে প্রতিরোধ করতে সমস্ত বিধি মেনে চলাটা নৈতিক কর্তব্য। এটা ভুললে চরম বিপদের মুখে পড়তে হবে।’’ সংক্রমণের যে রেখাচিত্র ছিল নিম্নগামী তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বেসামাল দেশের বিভিন্ন রাজ্য। প্রতিদিন আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড গড়ছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যও। আর এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলার দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় ফের নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৭৭ জন।
ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন , পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১০২ জন ও ঝাড়গ্রাম জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে। তবে এই ৩ জেলায় বেড়ে চলা করোনা গ্রাফ কমাতে নতুন করে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। তবে এরাজ্যে ভোট শুরু হওয়ায় সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২৭ মার্চ রাজ্যের প্রথম দফার ভোটের ছবিটাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে। সে দিন করোনা বিধি মানা কার্যত শিকেয় উঠেছিল। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের কথায়, ‘‘আধা সামরিক বাহিনীকে শুধু ভোটের হিংসা দেখলে চলবে না। করোনার হিংসাকেও প্রতিহত করতে কড়া হতে হবে। না হলে হয়তো ২ মে-র পরে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে করোনা। আর বিপক্ষে থাকবে সমস্ত রাজনৈতিক দল।’’ ইতিমধ্যে রাজ্যে ফের করোনা প্রকোপ বাড়তে থাকায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরি রাখার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন কমিশনও জানিয়েছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ফের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। টেলিমেডিসিন ও কলসেন্টার ফের পুরোদমে চালু করা হচ্ছে। কমিশন এ দিন দাবি করে, করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় গাইড লাইন মেনে ৭০ শতাংশ পরীক্ষা আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করা হচ্ছে।