পত্রিকা প্রতিনিধিঃ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দুও তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিরিরে যোগদান করেছেন। কিন্তু শুভেন্দুর পিতৃদেব শিশির অধিকারী এবং সেজভাই দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলে রয়েছেন। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বিজেপির প্রার্থী হতেই তাঁর জয় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন শিশির। তবে কি এবার বিজেপিতেই তাঁর গন্তব্য? রাম নবমীর আগে বাড়িতে পদ্মফুল ফুটবে বলে কয়েকমাস আগে আগাম জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ যদিও তার কিছুদিন পরই ‘ শান্তিকুঞ্জে ’ দ্বিতীয় পদ্মটি ফোটে৷ বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু অধিকারী৷ এবার পালা পিতা- সেজো পুত্রের৷
সূত্রে খবর, চলতি মাসের আগামী ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অধিকারী-গড় কাঁথিতে জনসভা করতে আসছেন। তার আগে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এবার কি শিশির-দিব্যেন্দু যোগ দেবেন বিজেপিতে। মোদীর সভায় কি দেখা যাবে শুভেন্দু-পরিবারের বাকি দুই সদস্যকে? ভোটের মুখে এই যোগদান হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু যতদিন তৃণমূলে ছিলেন শিশির অধিকারী ছিলেন জেলা সভাপতি। শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর শিশির অধিকারীকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়। তার আগে শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয় শিশির অধিকারীকে। তবে গত বছর ডিসেম্বরে শুভেন্দু যখন বিজেপিতে যোগদান করেন। আর সে সময় অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী৷ তারপর জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যায়৷ তৃণমূলের রাজনৈতিক আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি শিশির অধিকারী৷ তারপরই দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি৷ বলেন, ‘‘ছেলেকে আক্রমণ করলে ছেড়ে কথা বলব না৷ প্রতিহত করতে হবে৷ নিকৃষ্ট আক্রমণ নেমে আসছে৷’’ অপরদিকে তৃণমূলে থাকলেও ভোটের মুখে দলের একটি সভাতেও দেখা যায়নি দিব্যেন্দুকে৷ পরবর্তীতে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি পদ থেকে ইস্তফাও দেন তিনি৷ তবে জেলার বিজেপি নেতারাও বলছেন, ব্রিগেডের মতো কাঁথির সভাতেও চমক থাকবে৷ যা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ধরেই নিয়েছিল, দিব্যেন্দুর বিজেপিতে যোগদানও বোধহয় সময়ের অপেক্ষা৷