পত্রিকা প্রতিনিধিঃ কয়েক দিন আগেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষনা হয়েছে। আর তার পর থেকে এলাকায় এলাকায় অশান্তি ঠেকাতে তত্পর নির্বাচন কমিশন। আর এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটন কেন্দ্র
দীঘা, শঙ্করপুর,তাজপুর ও মান্দারমণি পর্যটন কেন্দ্রে আগামী ২৭শে মার্চ নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের ৪৮ঘন্টা আগে থেকে হোটেলে কোনো পর্যটক আনাগোনা করতে পারবেন না বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা করতেই মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশের। ভোটের পরের দিনই দোল উৎসব । আর সেই দিন দীঘায় প্রচুর ভীড় জমাতেন পর্যটকরা। তবে নির্বাচন কমিশন এই ঘোষণা শুনেই দোলের বুকিং বাতিল করা শুরু করেছেন তারা। তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের খবর কার্যত হতাশ হোটেল ব্যবসায়ীরা।
দিঘার এক হোটেল মালিক পরমেশ চন্দ বলেন, ‘‘দোলকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ মাস আগে থেকেই দিঘার হোটেলগুলি বুক হয়ে গিয়েছে। ২৭ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত টানা ছুটি। পাশাপাশি বাংলা বছর শেষের ছুটি কাটাতে বহু মানুষ দিঘায় বেড়াতে আসেন। কিন্তু প্রশাসন যদি নির্বাচনের জন্য দিঘা বন্ধ করে দেয় তাহলে কয়েক কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়বেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।’’
দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, বলেন , ইতিমধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভা এলাকার মধ্যে দীঘা , মান্দারমনি, তাজপুর ও শঙ্করপুর পর্যটন কেন্দ্র গুলি অবস্থিত । আর পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে দোল উৎসব পালন করতে বহু পর্যটকদের সমাগম হয়। তবে এবছর ২৭ মার্চ জেলার একাধিক অংশে নির্বাচন। তাই নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে কেউ পর্যটন কেন্দ্রে থাকতে পারবে না বলে জানানো হয়। পাশাপাশি আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত কেউ পর্যটন কেন্দ্রে আসতে পারবে না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার জেরে ইতিমধ্যে হোটেল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মাথায় হাত পড়েছে। পাশাপাশি বেশকিছু হোটেলের বুকিং ইতিমধ্যে বাতিল করেছেন পর্যটকেরা। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের কথা ভেবে প্রশাসনকে নমনীয় হওয়ার আবেদন জানাব।
এবিষয়ে জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, ‘‘নির্বাচনে কোনও রকম ঝামেলা যাতে না হয় সে দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে প্রথম ২ দফার নির্বাচনের সময় বহিরাগতরা যাতে হোটেলে না থাকেন সে দিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।’’ দিঘা-সহ সমস্ত হোটেলগুলির ক্ষেত্রে কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, বাইরের কেউ এই জেলায় ঢুকে যাতে অশান্তি তৈরি করতে না পারেন তার জন্য ইতিমধ্যে জেলার সীমানায় ৫৫টি নাকা চেকিং পয়েন্ট বসানো হয়েছে। যার মধ্যে ওড়িশা সীমান্তে ৫টি নাকা রয়েছে। প্রশাসন সব দিকে সতর্ক নজর রাখছে।
পর্যটক অঙ্কিতা রায় দত্ত বলেন , দোল উৎসবে আমরা প্রত্যেকেই চেয়েছিলাম দীঘায় কাটাতে । তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা নিয়ে আপশোষ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে সকলকে চলতে হবে । তাই এবছর আমরা প্রত্যেকে বাড়িতেই দোল উৎসব পালন করব।