শুভম সিং: পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশ জুড়ে শনিবার থেকে শুরু হল টিকাকরণ কর্মসূচি। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২০৭টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে টিকাকরণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। আপাতত করোনা টিকা হিসাবে কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় টিকাকরণের জন্য চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সেই মতো কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলায় বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে টিকা দেওয়ার কাজ। সংশ্লিষ্ট জেলার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত থেকেছেন এই কর্মসূচিতে। টিকা নেওয়ার পর কারও দেহে কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে কি না, তাও নজর রাখা হচ্ছে টিকাকেন্দ্রগুলিতে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের নার্সিং ট্রেনিং স্কুলকে করা হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিনেসন সেন্টার এদিন এখানেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের পর ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর ,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জেলার মোট ১৫ টি জায়গায় এই টিকাকরন এর কাজ চলবে।পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলায় ৯ টি জায়গা ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় ৬ টি জায়গায় টিকা দেওয়ার কাজ চলবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল, কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, এগরা সুপার স্পেশালিটি, নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি,হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল ও পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চরণ মন্ডল জানিয়েছেন,এখনও পর্যন্ত টিকাকরণের জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৭ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।তাছাড়া এই প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২১ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।বর্তমানে ৯ টি কেন্দ্র থেকে এই ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে পরে পরিস্থিতি দেখে ভ্যাকসিন টিকা কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এই রোগে বেশি শিকার হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করছেন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরদের এই ভ্যাকসিনের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
পাশাপাশি নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, এই স্বাস্থ্য জেলার অন্তগর্ত ৫টি জায়গায় ভ্যাকসিন টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।যার মধ্যে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল,কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল,দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল সহ আরও ২টি হাসপাতালে এই টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মী,নার্স ও পুলিশ কর্মীদের এই ভ্যাকসিনের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।