medinipur corona news, sabang corona news, debra corona news, kharagpur corona news, biplabi sabyasachi news, latest bengali news,
পত্রিকা প্রতিনিধি: জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৭ জন।এর মধ্যে মেদিনীপুর শহরে রয়েছেন ১২ জন। রেলশহর খড়্গপুরে রয়েছেন মাত্র ৫ জন, যা পূর্বের সংক্রমণের তুলনায় অনেকাংশেই কম। দাসপুরে রেকর্ড সংক্রমণ একদিনেই করোনায় আক্রান্ত হলেন ৬২জন। ডেবরায় একই পরিবারের একসঙ্গে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও সবং, গড়বেতা,দাঁতন, চন্দ্রকোনা,বেলদা ও খন্ডরুই সহ জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ১৫৭ জন। corona news, corona news
সোমবারের রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী সাধারণ মানুষের তুলনায় শহরে করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধারাই আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। শহরের কোতোয়ালীর অধীনে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক (৪৮) সহ মোট ৬ জন (পুরুষ-৩১,বৃদ্ধ-৫৯, পুরুষ-৩৮, পুরুষ-৩৩, বৃদ্ধ -৫২) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। করোনা আবহের প্রথম দিন থেকেই প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে নিজেদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দিবারাত্র অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেতে হয়েছে। শহরবাসীকে সচেতন করতে অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা তথা পুলিশ কর্মীদের। অপরদিকে শহরের ধর্মা সংলগ্ন এলাকায় এক যুবক (২৯) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়।গত শনিবার ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হলে সোমবার রাতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অপরদিকে শহরের করোনা লেভেল ১ আয়ূশ হাসপাতালে দুই স্টাফ (যুবক-২০, যুবক২১) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। যেহেতু ওই দুই কর্মী করোনা হাসপাতালেই কাজ করতেন সেহেতু কোনো কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের।মেদিনিপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক কর্মীও (৩৬) করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা যায়।
- আরও পড়ুন- প্রতিকূলতাকে জয় করে শালবনীর করোনা হাসপাতাল স্বমহিমায়, সদ্যজাত সন্তান সহ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মা
রেলশহর খড়গপুরে ঝাপেটাপুর সংলগ্ন গোপালনগর এলাকায় ৩ জন (যুবক-২৭, যুবক-২৫, যুবক-২৯) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও রেলের এক শিক্ষার্থী হোস্টেলে থাকাকালীন তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রেলশহরে এক মহিলা চিকিৎসকও (৫৪) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। গত ২১ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হন রেলের প্রসূতি বিভাগের প্রধান। জানা যায় সেই সময় ওই মহিলা চিকিৎসকেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সোমবার রাতে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। উ ল্লেখ্য কিছুদিন আগেই প্রসূতি বিভাগের ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই বিভাগটি। এই নিয়ে রেলের ৫ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলেন।
আবারও একদিনে ৬ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ চন্দ্রকোনায়।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সোমবার সন্ধ্যার রিপোর্ট অনুযায়ী,চন্দ্রকোনার দুটি ব্লক মিলে মোট ৬ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ।এদের মধ্যে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মনোহরপুর এলাকার একজন মহিলা সহ ৩ জন করোনা পজিটিভ।অপরদিকে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছোড়া ৩ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের যাদবনগর গ্রামের ২ জন পুরুষ ও কুঁয়াপুর ৪ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া গ্রামে একজন যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।গত ২১ তারিখ ৬ জনের নমুনা পাঠিয়ে করা হয়েছিল চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে।গত দুদিন চন্দ্রকোনায় করোনা আক্রান্তের খবর ছিলনা,দুদিন পর একদিনেই ৬ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানাযায়।
ডেবরায় (হাসিমপুর, ডেবরা৫/২ নং, ডেবরা) একই পরিবারের একসঙ্গে ১১ জন (পুরুষ-৪৬, যুবক-১৯, যুবক-২৯, বৃদ্ধা-৮৫, পুরুষ-৪৫, পুরুষ-৬০, মহিলা- ৫৪, পুরুষ ৩৩, যুবতী-২০, যুবক-২৯, বৃদ্ধ-৫৪ও মহিলা- ৩৪) আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে। পরিবারের ১১ জনেরই গত শনিবার লালারসের পরীক্ষা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে গতকাল রাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এছাড়াও ডেবরার আলিশাগড় (পুরুষ-৪৬), বড়োগড় (যুবতী-২৯,যুবতী-১৯), পিংলার সংগ্রামচক সংলগ্ন পিন্ডুরুই ৮নং এলাকার এক বৃদ্ধ (৫৮) ও বৈচা সংলগ্ন জালিমন্দা গ্রামে এক ৬২ বছরের বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সবংয়ের একই পরিবারের একসঙ্গে ৫ জন (বৃদ্ধ-৫৮, পুরুষ-৩২, মহিলা-৩২, বৃদ্ধা-৫৪, যুবতী-১৮)করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। আক্রান্তকারীরা লুটুনিয়ে ১নং দেভোগ -সবংয়ের বাসিন্দা। এদের প্রত্যেকেরই গত শুক্রবার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হলে সোমবার রাতে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে করোনা হানা দিয়েছে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই। তবে, সরাসরি অন্দরমহলে প্রবেশ করতে পারেনি, ‘অতিথিশালা’ তে (গেস্ট হাউসে) এসেই থেমে গিয়েছিল! স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্মী জেলা পরিষদের গেস্টহাউসে থাকতেন, তাঁকে দিয়ে শুরু হওয়ার পর, সম্প্রতি গেস্টহাউসের এক কর্মীর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে। আর, এবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সচিব (সেক্রেটারি) এর। আজ সকালে, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১৬ ই আগস্ট র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে নারায়ণগড়ের বিডিও’র রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। জেলা পরিষদের সচিব স্বাধীনতা দিবসের আগে, প্রায় তিন – চার দিন ধরে বিডিও’র সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। এরপর, ওই বিডিও’র রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও তিনি উপসর্গহীন ছিলেন বলে জানা যায়। বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে জেলা পরিষদের বর্তমান সচিব গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব করছিলেন। তাই, করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। আজ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে করা হলে, আশঙ্কা সত্যি করে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিডিও’র সংস্পর্শেই রিপোর্ট পজিটিভ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে লেভেল ফোর শালবনী করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, শালবনী ব্লকের আরো একটি নতুন গ্রামে করোনা থাবা বসালো। ৬ নং ভীমপুর অঞ্চলের ধানঘোরী গ্রামের সত্তোরোর্ধ্ব এক গ্রামীণ চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট আজ (সোমবার) পজিটিভ এসেছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে। চিকিৎসা সূত্রে মেদিনীপুর শহরে এলে, চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করান বলে জানা গেছে। এরপর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ওই এলাকা গন্ডীবদ্ধ করা হয়েছে পিড়াকাটা পুলিশ বীট হাউসের পক্ষ থেকে।
- লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi