পত্রিকা প্রতিনিধি : উপসর্গহীনরা বাড়িতেই থাকতে পারেন হোম আইশোলেশনে, আইসিএমআর এর পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য সরকার আগেই এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। বিভিন্ন জেলাতেও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী। সেই শর্তগুলি পূরণ করলেই, বাড়িতে হোম আইশোলেশনে থাকার অনুমতি দিতে পারে, জেলা স্বাস্থ্য ভবন তথা জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যায় জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাবাসীর জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩২২২-২৭৫৮৯৪ । এই নম্বরে ফোন করে এই বিষয়ে পরামর্শ এবং অনুমতি নিতে পারেন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত বা তাঁর পরিবারের যেকোনো সদস্য। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন বা জেলা স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গেও যোগাযোগ করে অনুমতি নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে, স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে জেলা প্রশাসন বা জেলা স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দান করবে, অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি বা পরিবারের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই করার পর অনুমতি দেওয়া হবে। অনুমতি প্রদানের পর, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে, স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি, মেদিনীপুর শহরের একজন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত হোম আইশোলেশনে থাকার অনুমতি পেয়েছেন বলেও জানা গেছে জেলা স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে। জেলা স্বাস্থ্য ভবন এবং জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপসর্গহীন হওয়া ছাড়াও যে শর্তগুলি পূরণ করতে হবে-
১. একা থাকার মতো একটি ঘর।
২. পৃথক স্নানাগার ও শৌচাগার।
৩. বাথরুম বা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য পৃথক দরজা।
সর্বোপরি, উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে তবেই হোম আইশোলেশনে থাকার অনুমতি পাবেন যেকোনো উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত জেলাবাসী।
এই বিষয়ে জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “উপসর্গহীনরা চাইলে বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় খতিয়ে দেখে অনুমতি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হবে। জেলার কন্ট্রোল রুমের নম্বরে ফোন করে এই বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন। জেলাজুড়ে র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে, সেক্ষেত্রে বাড়িতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকলে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বাড়িতে থেকেই হতে পারে। এতে, কোনোরকম ঝুঁকি বা আতঙ্কের কিছু নেই।”