পত্রিকা প্রতিনিধি: দুইদিন নিঁখোজ থাকার পর পুকুর থেকে উদ্ধার মৃতদেহ।যা নিয়ে স্বভাবতই রহস্য দানা বাঁধছে পরিবারের।বাড়ি থেকে কিছু টা দূরে উদ্ধার হয় মৃতদেহ।ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার দেউলি মধ্যপাড়া এলাকার।মৃত ওই ব্যক্তির নাম অনু নন্দি(৪০)।বাড়ি বেলদা থানার দেউলি মধ্যপাড়া এলাকায়।পরিবার সূত্রে খবর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল অনু নন্দী।পেশায় ট্রেনের হকার ওই যুবক মদ্যপান করতেন বলেও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ কয়েকজন বন্ধুর সাথে বেরিয়ে যায় অনু।তারপর বাড়ি না ফিরলে রাতে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন।রাত হয়ে যাওয়ায় আবার পরের দিনও খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন।খোঁজ না পাওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বেলদা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজন।পরে পরিবারের লোকজন কথা বলে অনুর বন্ধুদের সাথে,তাদের কথায় অসঙ্গতি পাওয়া গেছে বলে দাবি প্রতিবেশী এবং পরিবারের লোকজনের।এরপরই শনিবার সকাল থেকে ফের খোঁজাখুঁজি শুরু হলে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া পুকুর থেকে কিছুটা দূরে পাওয়া যায় ব্যবহৃত জুতো জোড়া।মৃতার দিদি কৃষ্ণা দাস জানিয়েছে-“প্রথম দিন ওই পুকুরপাড়ে খোঁজা হয়েছিল তবে প্রথম দিন জুতা পাওয়া যায়নি দ্বিতীয় দিন তার জুতা উদ্ধার হয়।মদ্যপানের পর তার সঙ্গিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”শনিবার দুপুর নাগাদ দুই দিন ধরে নিখোঁজ থাকা অনু নন্দীর মৃতদেহ পুকুরে ভেসে উঠতে দেখে বেলদা থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রতিবেশী দীপক দাস এর বক্তব্য অনুযায়ী-“দুইদিন ওই পুকুরে জাল দিয়ে খোঁজা হয়েছে।তবে খোঁজ মেলেনি।সকালে জুতো পাওয়া যায়,তারপর দেহ ভাসতে দেখা যায়।পরিকল্পনা করেই তাকে খুন করা হয়েছে।”মৃতদেহ ভাসতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজন।ছোট অভাবি সংসারে একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়।