পত্রিকা প্রতিনিধি: আবার খুনের রাজনীতি শুরু করতে চেষ্টা করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সৌজন্যে প্রশাসনের একাংশ। বোড়ে সহজ সরল আদিবাসী মানুষ।প্রেম করে বিয়ে করা অপরাধ। নিদান মোটা অঙ্কের জরিমানা। দাবি কয়েকজন মাতব্বর এর।এরা এলাকায় দুষ্কৃতি হিসেবে পরিচিত দাবি এলাকাবাসীর। এরা সমাজের নাম করে রবিন টুডুর নেতৃত্ত্বে বিগত কয়েক বছর ধরে শান্ত সরল আদিবাসী দের উপর অত্যাচার করে আসছিলো। রবিন টুডু এবং তার স্ত্রী বিরবাহা টুডু এখন তৃনমূলের লোক। তাই এখন রবিন টুডুর ছেড়ে যাওয়া মুষ্টিমেয় কয়েকজন মাতব্বর এই একি কাজ করছে সমাজের নাম করে। যদিও অধিকাংশ আদিবাসী মানুষ এদের খুব ঘৃনা করে। এটা আমরা বিগত লোকসভা ভোটে দেখেছি।রবিন টুডুর বৌ বিরবাহা সরেন কে আদিবাসী রা ভোট দেয় নি।গত পয়লা জুন বিনপুর থানার আশাকাঁথি গ্রামে এই দুষ্কৃতি রা বাবলু টুডুর পরিবারের উপর চড়াও হয়ে টাকা দাবি করে। টাকা না দিতে চাইলে পরিবার কে মারধোর করা হয়।গ্রামের বাকি আদিবাসী লোকজনবেরিয়ে এলে দুষ্কৃতি রা পালিয়ে যায়।এতেই গুরুতর আহত হন বরের বাবা, মা, ভাই। তাদের মধ্যে মা সিগা টুডুর মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে ভর্তী করা হলে গতকাল সেখানে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকা বাসী। ঘটনার পর পুলিশ কে জানানোর পর কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে মহিলার মৃত্যুর পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে।
এলাকার আদিবাসী নেতা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য পূর্নচন্দ্র সরেন ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন মাঝি পারগানা মহল নামে যে একটা সংগঠন গড়ে উঠেছিলো যার অন্যতম নেতৃত্ত্বে ছিলেন বিরবাহা টুডুর স্বামী রবিন টুডু। তারাই এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা একটা বড়ো বিপদ সঙ্কেত।এর আগেও একাধিক বিয়ে, শ্রাদ্ধ বাড়িতে টাকা আদায় এর নাম করে একি রকম ভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে এই দুষ্কৃতি রা।
আজ মৃত দেহ এলাকায় পৌছালে একদিকে ক্ষোভ পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে আসে।