পত্রিকা প্রতিনিধি: বিমানবন্দরে যে যাত্রীদের যথাযথ করোনা সতর্কতামূলক পরীক্ষা হচ্ছে না তা প্রকাশ্যে আনলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন। সোমবার ১৫ জুন তিনি জানিয়েছেন, এদিন সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে ২৬ বছরের ইন্দ্রজিৎ দোলই ও ২৩ বছরের স্বরূপ সামন্ত বলেন তাঁরা করোনা পজিটিভ। হাসপাতাল ভর্তি নেওয়ার সময় দেখে তাঁরা ১২ জুন চেন্নাইয়ের ল্যাবে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন, ১৩ তারিখ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁরা জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ জন চেন্নাইয়ের চিঙ্গুলপেটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও অন্য কাজ করেন একটি কারখানায়। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে অন্য রাজ্যের একজনও কাজ করেন। ওই কারখানায় একজনের করোনা ধরা পড়ায় বাংলার ৯ জন ওখানকার সরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করতে যান। উপসর্গহীন থাকায় তাঁদের পরীক্ষা করেনি ওই হাসপাতাল। ইন্দ্রজিৎ ও স্বপনবাবু এরপর বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করান এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাকি ৭ সহকর্মী চেন্নাইয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে এই দুজনকে কোম্পানি তাঁদের কোয়ার্টার ছাড়তে বললে তাঁরা বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে তাঁদের বাড়ির লোকেরা আপত্তি জানান। এরপর তাঁরা রবিবার ১৪ জুন চেন্নাই থেকে রাত ১০টার ইন্ডিগো ৬৩৮৫ বিমানে রওনা দিয়ে কলকাতা পৌঁছে ভোরে ভাড়া গাড়িতে চেপে এই হাসপাতালে পৌঁছান।
মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ব্যক্তিদের চিকিৎসা হচ্ছে। তবে কীভাবে দুই বিমানবন্দর দিয়ে তাঁরা করোনা পজিটিভ হয়ে চলে এলেন? কেন্দ্র তো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে পাঠাতে পারত। আসার সময় এই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের সংক্রমণ হলে দায় কার। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, আইসিএমআরকে এই গাফিলতির জবাব দিতে হবে। যাঁরা স্বাস্থ্যবিধি বানাচ্ছেন, তাঁরা যেভাবে তা লঙ্ঘন করছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। বাংলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে দেশে উদ্বেগজনকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। সেখানে এমন গাফিলতি হলে তো পরিস্থিতি খারাপ হবে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি। পাশাপাশি ওই বিমানে যাঁরা এসেছেন এবং বিমানবন্দরে কেউ তাঁদের সংস্পর্শে এলে আপনারাও করোনা পরীক্ষা করান।