Shots in Midnapore
পত্রিকা প্রতিনিধি: মেদিনীপুর শহরে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবারের পর রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মোটা রাজার সঙ্গী বাকি ৩ জনকে মেদিনীপুর শহরের আমতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই ৩জনকে আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য শনিবার সন্ধ্যা আটটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের ধর্মায় একটি ধাবাতে তোলা আদায় করতে হাজির হন ৪ জন সশস্ত্র যুবক। টাকা না পেয়ে শূন্যে গুলি ছুঁড়ে হুমকিও দিয়ে যান। তার কিছুক্ষন পর শহরের পদ্মাবতী শ্মশান সংলগ্ন রাস্তাতেও অভিজিত গোপ নামে এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে গিয়ে গুলি ছোঁড়ে। খোদ মেদিনীপুর শহরে ভর সন্ধ্যায় গুলি চালানোর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত শহরবাসী।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় দিলীপ ঘোষ, প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়ে খেললেন ফুটবল
আরও পড়ুন:- হিমাচলপ্রদেশে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জঙ্গলমহলের ৬ জন
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গুলি চালানোর ঘটনায় মূল পান্ডা সুমন সিং ওরফে মোটা রাজাকে শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বাকি ৩ জনকেও গ্রেপ্তার করে রবিবার রাতে। সৌরভ ঘোষ, সাহিল ঘোষ, বিমান ঘোড়ই এই তিনজনের কাছ থেকে ২৬ কেজি গাঁজা, ৩ টি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটর বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন,” গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা মোট ৪ জনের কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গেছে। তাদের আদালতে তোলা হবে।
Shots in Midnapore
মেদিনীপুর শহর শান্তির শহর হিসেবেই সারা রাজ্যে পরিচিত। সারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা ছিল। মেদিনীপুর শহরের মানুষেরা গল্প শুনতেন পাশের খড়্গপুর শহরে গোলাগুলি চলে। ওখানকার মানুষের হাতে অস্ত্র থাকে । মেদিনীপুরে শান্তি থাকার কারণে জেলার অন্যান্য এলাকায় অশান্তি হলে মানুষ আশ্রয় নেন। মেদিনীপুরে এসে বহু মানুষ জায়গা কিনে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে থেকেও বসবাস করছেন এই ঐতিহাসিক শহরে। কিন্তু বর্তমানে মেদিনীপুর শহরে যেভাবে দুষ্কৃতীরা বাড়ছে তাতে খড়্গপুর শহরকেও ছাড়িয়ে দিতে বসেছে। প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে মাঝামাঝি ঐতিহাসিক শহরে অশান্তি ঘটছে। দুষ্কৃতীরাজ বাড়ছে। দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। গুলি চালাচ্ছে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। শান্তিপ্রিয় শহরের মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া জঙ্গলে জন্ম নিল হস্তি শাবক, তাকে ঘিরে উল্লাস দাঁতালদের
এর জন্য পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন। কেবল রাতের অন্ধকারেই না প্রকাশ্যে দিবালোকে চলছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। পাতাখোরদের দাপট এতটাই বাড়ছে যে দিনের বেলাতেও বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন, সাইকেল, বাইক, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। শহরের নজরগঞ্জ, পাম্প হাউস ,মণ্ডল মাঠ সহ শরৎপল্লী সহ বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা প্রায়শই ঘটে ।অসতর্ক হলেই বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। শহরে এত পুলিশি পাহারা সত্ত্বেও দোকানের দেয়াল কেটে মালপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে ।মহিলাদের হার ছিনতাইয়ের ঘটনা তো প্রায়শই ঘটছে। তবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে শহরে দিনের পর দিন পাতাখোরদের সংখ্যা এতই বাড়ছে যে মানুষের শান্তি বিঘ্নিত । কিভাবে শহরে হেরোইন সহ প্রচুর পরিমাণ মাদক দ্রব্য আসছে, কোথা থেকে বিক্রি হচ্ছে তা জানতে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে ।
শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রচুর পুলিস ও সিভিক ভলেন্টিয়ার রয়েছে। রাজ্য সরকার সারা রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বহুসংখ্যক সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করেছে। নিয়োগ করা হয়েছে পুলিশ ও। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও পরিকল্পনামাফিক তাদের কাজে লাগানো হচ্ছে না। পুলিশ যখন সক্রিয় থাকে তখন খুনখারাপি দুষ্কর্ম করতে ভয় পায় দুষ্কৃতীরা । কিন্তু প্রশাসনিক দুর্বলতা দেখা গেলেই ফের সমাজবিরোধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে । পুলিশ মাঝেমধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরলেও প্রশাসনিক গাফিলতিতে তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। ফলে জেল থেকে বেরিয়ে ফের তারা খুনখারাপির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। দিনকয়েক আগে আবার কোতয়ালি থানার আইসি র নামে মামলা হয়েছে। মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ পার্থসারথি পালের নামে মামলা দায়ের হয়েছে মেদিনীপুর আদালতে। শহরের এক বাসিন্দা তার নামে আদালতে মামলা করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনা নিশ্চয়ই পুলিশ প্রধানের কাছে খুব একটা সুখবর নয় বলেই অভিজ্ঞ মহল মত প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:- দিঘায় ধরা পড়ল ৮০০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির শঙ্কর মাছ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Shots in Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
News Reporter: Police arrested all the four accused in the shooting incident in Midnapore town. On Sunday night after Saturday, Mota Raja’s accomplices arrested the other three from Amtala area of Midnapore town. Those 3 people will taken to court. Note that around 8 pm on Saturday, 4 armed youths came to collect money in a dhaba in Dharma of Midnapore city. He also threatened to shoot in the air without getting any money. Shortly afterwards, he shot at a man named Abhijit Gop on the road adjacent to the Padmavati crematorium in the city. In the city of Midnapore itself, the city dwellers terrified by the shooting incident in the evening.
Police conducted a search after seeing CCTV footage of the incident. Kotwali police arrested the main accused Sumon Singh alias Mota Raja on Saturday night in connection with the shooting. When taken to court, the judge ordered 14 days of police custody. Police arrested the other three on Sunday night after interrogating them in their custody. Police recovered 26 kg of cannabis, 3 pistols, 12 rounds of ammunition and a motorbike from the three. Superintendent of Police Dinesh Kumar said, “Weapons recovered from a total of four people arrested in connection with the shooting. They taken to court.”
Shots in Midnapore
People at different levels of the city have blamed the negligence of the police administration for this. Thefts and robberies are going on not only in the dark of night but also in broad daylight. The power of leaf-eaters is increasing so much that even during the day, miscreants are stealing mobile phones, bicycles, bikes, furniture and other things from their homes. Thefts often happen in different areas of the city including Nazarganj, Pump House, Mandal Math and Saratpalli.
In spite of so many police guards in the city, the walls of the shops cut and the goods stolen. However, due to police inaction, the number of leaf eaters in the city is increasing day by day so much that the peace of the people is disturbed. It goes without saying that there is no activity of the police to know how a lot of drugs including heroin coming to the city and where they are being sold from.