Home » হলদিয়া বন্দরে ২ ক্যাপ্টেন কোভিড আক্রান্ত, হুগলি থেকে এগরায় ছেলের সাথে দেখা করতে এসে আক্রান্ত মা, খড়্গপুরে ফের আক্রান্ত ৪

হলদিয়া বন্দরে ২ ক্যাপ্টেন কোভিড আক্রান্ত, হুগলি থেকে এগরায় ছেলের সাথে দেখা করতে এসে আক্রান্ত মা, খড়্গপুরে ফের আক্রান্ত ৪

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি: ফের হলদিয়া বন্দরে করোনার থাবা। হলদিয়া পোর্ট মেরিন ডিপার্টমেন্ট দুই ক্যাপ্টেনের করণা পজিটিভ মেলাতে বাকি ক্যাপ্টেন রা কর্মবিরতি ঘোষণা কর। প্রায় তিন ঘন্টা কাজ বন্ধ থাকে। তাদের দাবি প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হোক। সেই দাবি মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ সমস্ত ক্যাপ্টেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ৪০ জন ক্যাপ্টেন এর মধ্যে দুজনের করোণা পজেটিভ ধরা পড়ে। বাকি ৩৮ জনের নেগেটিভ আসে। দুজনকে কলিকাতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে স্বাভাবিক বন্দরের এর কাজ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল হলদিয়া বন্দরের বাকি ক্যাপ্টেনরা।এগরায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসে করোনা আক্রান্ত হলেন মা।
ফের রেডজোন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরে করোনায় আক্রান্ত হলেন এক মহিলা।
জানা গিয়েছে, এগরা মহকুমা হাসপাতালের শৌচাগার চালান সন্তোষ প্রাসাদ নামের এক ব্যক্তি।তার বাড়ি হুগলি শ্রীরামপুর বৈদ্যবাটি এলাকায়। যদিও সন্তোষ প্রাসাদ বাবু কর্মসূত্রে এগরায় থাকার জন্য তিনি এগরা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন জায়গা কিনে বাড়ি ও তৈরি করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর,গত শনিবার শ্রীরামপুর বৈদ্যবাটি থেকে ছেলে সান্তোষের কাছে আসেন ওই মহিলা।এরপরেই ১৫ই জুন এই মহিলার লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার করার জন্য কলকাতা আইডি হসপিটালে পাঠান এগরা সুপার স্পেসিলিটি হাসপাতালে চিকিৎসকগণ।এরপর শনিবার বিকেলে ওই মহিলার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এরপর স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম নীতি মেনেই এগরা থানার পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় আজ এই মহিলাকে পাঁশকুড়া বড়মা কোভিড হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যদিও করোনা আক্রান্ত মহিলা জানিয়েছেন তিনি ছেলে বৌমার কাছে এগরায় বেড়াতে এসেছিলেন।

খড়্গপুরে ফের ৪ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এর আগে রেল শহরে এক সাথে ৬ জনের (আর পি এফ) করোনা সংক্রমণের হদিশ মিলেছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, খড়্গপুরের উত্তর সাগরপুর এলাকায় এক যুবকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ওই যুবক তাঁর ভাইয়ের কোভিড চিকিতসার জন্য কলকাতায় ছিলেন। ওই যুবক রশ্মি মেটালিক্সে কাজ করতেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি অসুস্থতাবোধ করলে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পুলিশ সুত্রের খবর, তাঁর ভাইয়ের করোনা পরীক্ষার চিকিৎসার জন্য গত এক মাস ছুটি নিয়েছিলেন। ফলে কারখানায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই।খড়্গপুরে দ্বিতীয় আক্রান্তের হদিশ মেলে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের টুরিপাড়া এলাকায়। জানা যায় ওই ব্যক্তি দিল্লীতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ায় বাড়ি ফেরার সময় নমুনা সংগ্রহ করা হলে ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তৃতীয় করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে খড়্গপুরের গোপালনগর এলাকায়। জানা যায় ওই ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করাতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। চতুর্থ করোনা আক্রান্তকারী যুবক খড়গপুরের ৪ নং ওয়ার্ডের লোহানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার রেলকর্মীর ছেলে, যিনি করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা যান। শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়া নিয়ে রেলের মেন হাসপাতালে ভর্তি হলে পরের দিন তিনি মারা যান। মৃত্যুর পরে পরিবারের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হলে সেখানেই তাঁর ছেলের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

অপরদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ব্লকের অমরপুর ও মহম্মদপুর এলাকায় করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল২জন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই ২জন পরিযায়ী শ্রমিক কর্মসূত্রে মুম্বাইতে থাকতেন।কিন্তু লকডাউনের কারনে তারা তাদের বাড়ি ফিরে আসেন।এরপর পটাশপুর ১ ব্লকের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা ৮ ই জুন তাদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠায়।এরপর শনিবার তাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.