পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেক বিডিও ও একাধিক পুলিশকর্মী তবুও করোনা আতঙ্কে এড়িয়েই করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে তুলতে এগিয়ে এলেন বিডিও ও ওসি। করোনা আক্রান্ত রোগীকে গাড়িতে তুলতে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী ছিলনা, ছিলনা স্থানীয় বাসিন্দারাও তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে করোনা আক্রান্ত রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুললেন বিডিও ও ওসি।
এমনই ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরে বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনই ঘটনা ঘটলো সোমবার গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর গ্রামে।
জানাযায় গ্রামেরই এক গ্রামীণ চিকিৎসক করোনা উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন রবিবার রাত নাগাদ প্রশাসন জানতে পারি ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত এদিকে ওই ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরিবারের লোক প্রশাসনের সাথে ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেন, দীর্ঘক্ষণ বাদেও এলাকায় কোন স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী না যাওয়াতে এলাকাবাসীরা পুলিশ ও বিডিওর সাথে যোগাযোগ করেন ওই দিন রাত্রি বারোটা নাগাদ এলাকায় গিয়ে পৌঁছায় চন্দ্রকোনা থানার ওসি প্রশান্ত পাঠক ও চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও স্বাশত প্রকাশ লাহিড়ী, যুগ্ম বিডিও অমিত নন্দি।
করোনা আক্রান্ত রোগী কোন পরিকাঠামো না থাকায় করোনা ভয়ে পাশে আসেনি স্থানীয়রা।
কোন উপায় না দেখে করোনা রোগীকে গাড়িতে তুলতে এগিয়ে আসলেন বিডিও ও ওসি, তারা রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে চিকিৎসার জন্য পাঠায় হাসপাতালে। বিডিও ও ওসির এই ধরনের উদ্যোগের কথা জানাজানি হতেই গোটা ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে শোরগোল।পরিবার সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি আজ সকালেই করোনা হাসপাতালে মারা যান।