পত্রিকা প্রতিনিধি :পূর্ব মেদিনীপুরঃ বাড়িতে প্রসবের জেরে মৃত্যু হল সাহিদা খাতুন (২৮) নামের এক প্রসূতির।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের তুপচিবাড় গ্ৰামে বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ফের সামনে এনেছে এলাকায় সংস্কারের পুরনো চোহারাটা।হাসপাতাল এড়িয়ে বাড়িতে প্রসবের ঘটনা এই এলাকায় নতুন নয়।এর আগে এমনই বহু ঘটনার সাক্ষী রয়েছে পটাশপুর। তবে হাতে গোনা মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে পটাশপুর হাসপাতাল।প্রান্তিক কোনও গ্রামও নয়, তবুও তুপচিবাড় এলাকায় ‘হোম ডেলিভারি’ বা বাড়িতে প্রসব সাবেক রীতি, এমনই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন সকাল থেকেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় সহিদার।এরপর বাড়ির মহিলারা তার যন্ত্রণা দেখে থমকে না থেকে তার প্রসব করার কাজ শুরু করে দেন।এরপর প্রসবের সময়ে অত্যধিক রক্তক্ষরণ শুরু হয় সাহিদার।এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে গাড়ি করে এগরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ।
পারিবারিক সূত্রে দাবি, সাহিদার এটি প্রথম প্রসব। তাই তাঁর সন্তান প্রসব হয়েছে বাড়িতে।এরপর সাহিদা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ ছিল প্রসূতির।তাই রক্তক্ষরণ শুরু হলে বেগতিক দেখে প্রসূতিকে তার পরিবারের সদস্যরা সাহিদাকে সংকটজনক অবস্থায় গাড়ি করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎই তার মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন ‘‘সংস্কারের কারণে ওই এলাকার অধিকাংশ প্রসূতিকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয় না।প্রসূতিরা বেশির ভাগ চিকিৎসক পরীক্ষা করতে চাইলেই আপত্তি তোলেন।তাছাড়া হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় তাদের বাড়ি। নিশ্চয়যান আছে, তাছাড়া রাস্তায় অন্য যানবাহনও কম নেই। তবু তাঁদের হোম ডেলিভারির রেওয়াজ গেল না।’’তবে কিন্তু স্থানীয় মানুষকে সামাজিক সংস্কার ভুলে হাসপাতালে আসতে হবে।’’