Wild elephant
আরও পড়ুন ঃ–এবার মেদিনীপুরে প্রবেশ করল বুনো হাতি, শহর জুড়ে আতঙ্ক
পত্রিকা প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দলছুট হাতির তান্ডবে ঘুম ছুটল মেদিনীপুর শহরবাসীর। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, মাদপুর এলাকা থেকে একটি হাতি দিনের বেলা জনতার তাড়া খেয়ে মোহনপুর বাস ব্রীজের কাছে বিকেল বেলা পৌঁছে যায়। পেছন থেকে হাতি দেখার উৎসাহিত জনতার তাড়া খেয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে আমতলা পার্ক হয়ে হোসনাবাদ এলাকায় প্রবেশ করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হুলা পার্টি ও বনকর্মীরা। হাজার হাজার মানুষের তাড়া খেয়ে কার্যত দিশেহারা। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে যানবাহনের ভয়ে মেদিনীপুর শহরে প্রবেশ করে সন্ধা ৭ টা নাগাদ ৷ তারপরই শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন লোকালয়ে প্রথম জঙ্গলের হাতিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷
হাতি পৌঁছে যায় ধর্মা ট্রাফিক মোড়ে। রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। দৌড় লাগান আতঙ্কিত মানুষজন। সেখান থেকে সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির হয়ে রাজাবাজার দিয়ে মেদিনীপুর কলেজের ভিতরে প্রবেশ করে। হুলা পার্টির লোকজন এসে হাতিটিকে কোনোরকমে ওখান থেকে বের করলেও সোজা ঢুকে পড়ে মেদিনীপুর হাসপাতালের ভেতরে। সেখানে ঝোপের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা ভয়ে চেঁচামেচি ও দৌড় শুরু করলে মেদিনীপুর শহরে হাতিটিও দৌড় দেয় ৷ শহরের বিভিন্ন গলিতে ঘুরে হাতিটি প্রাণভয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করে। ততক্ষনে কয়েক হাজার অতি উৎসাহিত লোকজন মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাতি দেখতে ভিড় জমিয়ে দিয়েছেন ৷ ফলে হাতিকে নিরাপদে বের করার রাস্তা পায় নি বনকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে পুলিশ ৷
রাত ১১ টা নাগাদ হাসপাতাল চত্বরে আটকে থাকা হাতিকে কায়দা করতে নিয়ে আসা হয় ঘুম পাড়ানি বন্দুক ৷ রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয় হাতিকে। তবে অনেক রাত পর্যন্ত মেদিনীপুর শহরে রাস্তায় হাতিটি ঘুরে বেড়ালেও কোনো মানুষের ক্ষতি হয় নি। বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Wild elephant
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore