Hanging body
আরও পড়ুন ঃ–কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, শিউলি-শুভ্রা দ্বন্দ্ব দেখছেন স্থানীয়রা
পত্রিকা প্রতিনিধি: জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশিয়াড়ীতে (Keshiary)। কেশিয়াড়ী থানার তালবাঁধ (Talbandh) এলাকায় এক কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল সোমবার। জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম প্রতিমা (Pratima Singh) সিং (১৩)। স্থানীয় পারুলিয়া এম এস কে (Parulia M.S.K) স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিউশন না যাওয়ার কারণে বাবা মায়ের সাথে রাগারাগি হয় ওই কিশোরীর। টিউশন না গিয়ে বাড়িতে বসে থাকায় জমিতে কাজে যাওয়ার কথা বলে কিশোরীর বাবা-মা। এরপরেই বাবা-মা কাজে চলে গেলে বাড়িতে দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কাজ থেকে ফিরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন বাবা-মা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পরিবারের লোকজন কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কেশিয়াড়ী গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।দেড় বছরের লকডাউনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ঘেঁয়ামীর প্রভাব পড়েছে। পড়াশোনা থেকে মন হারাচ্ছে তারা। যার ফলে এই এইরকম ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন অনেকে।
অপরদিকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ঝুলন্ত পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশিয়াড়ী থানার বামুনমারী (Bamunmari) এলাকায়। সোমবার সকালে কেশিয়াড়ীর ব্লকের (Keshiary) খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের Khajra Gram Panchayet) বামনমারী (Bamanmari) জঙ্গল এলাকায় স্থানীয়রা গবাদিপশু চরাতে গিয়ে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত পচাগলা দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কেশিয়াড়ী থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, কেউ বা কারা জঙ্গলে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে। বৃষ্টির কারণেই ঝুলন্ত দেহ পচে গলে যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান আত্মহত্যাও হতে পারে। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে খুন না আত্মহত্যা।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Hanging body
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore