Message from the team leader
আরও পড়ুন ঃ-স্টপেজের দাবিতে সরডিহা স্টেশনে রেল অবরোধ
পত্রিকা প্রতিনিধি: ব্ল্যাকমেল, দরকষাকষি করে নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে দুর্বল করা যাবে না। নাম না করে মেদিনীপুরের সভা থেকে এভা বেই কি শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃণমূল নেত্রী ইঙ্গিত পূর্ণভাবে বিজেপি দল এবং তাদের বন্ধুদের নিশানা করেই ওই মন্তব্য করেন। যেহেতু শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে প্রবল জল্পনা চলছে, তাই নন্দীগ্রামের বিধায়ককে উদ্দেশ্য করেই এদিন এমন বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। মমতার সভায় অধিকারী পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। পায়ের চোটের কারণে সভায় আসেনি সাংসদ শিশির অধিকারী। শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী দিল্লীতে রয়েছেন এবং কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারীকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
শুভেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের বিধায়ক। দলের সদস্য পদও ছাড়েননি তিনি। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু বলেন কিনা সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সরাসরি শুভেন্দুর নাম না নিলেও মমতা বুঝিয়েছেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তৃণমূল এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর কীভাবে লড়াই করতে হয়েছে সেকথাও মনে করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ” তৃণমূল তৈরী করেছিলাম, আমার মনে আছে প্রথমবার অখিল গিরি লড়াই করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে।
আমরা জিততে পারিনি দ্বিতীয় হয়েছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস এত দুর্বল নয়। যদি কেউ মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেলিং করব, দরকষাকষি করব,তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব, তাহলে সেই বিজেপি দল এবং বিজেপিদলের বন্ধুদের বলব আগুণ নিয়ে খেলবেন না । আর যাকে পারেন জব্দ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না। কারণ সভায় মমতার বক্তৃতায় দুবার অধিকারী শব্দটি এসেছে। একবার তিনি যখন বোঝাতে চেয়েছিলেন সমাজের সব শ্রেণি সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি, উপজাতি, বাগদি, বাউড়ি আধিকারীদের জন্য তিনি কি করেছেন এবং দ্বিতীয়বার যখন তিনি বোঝাতে চাইছিলেন যে বিজেপি কিভাবে সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিভাজন তৈরী করেছে ও ঝগড়া লাগিয়ে দিচ্ছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Message from the team leader
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore