Protesting the attack on BJP workers
আরও পড়ুন ঃ-সিদ্ধান্তে অনড় কুড়মিরা, ৭ই হচ্ছে হুড়কা জ্যাম
পত্রিকা প্রতিনিধি: বিজেপিতে যোগদানের পরেই ২১ শে নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলকে টেক্কা দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।সেই মতো রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ঢোলমারি থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত আর নয় অন্যায়ের প্রতিবাদে এক পদযাত্রার আয়োজন করে বিজেপি। এদিন পদযাত্রা শেষে দেশপ্রাণ ব্লকের বসন্তিয়া স্কুল মাঠে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারীর। অভিযোগ, এই সভায় আসার সময় ঢোলমারির কাছে বিজেপি কর্মীদের একটি ট্রেকারে হামলা করে একদল দুষ্কৃতী।পাশাপাশি বাঁশ, লাঠি নিয়ে তারা চড়াও হয় বিজেপি কর্মীদের উপর। তবে এই ঘটনায় বেশকয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আর এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে গেরুয়া শিবির।তবে তৃণমূল পাল্টা এই ঘটনার জন্য বিজেপির অন্দরের কোন্দলকে দায়ী করেছে।এদিন মুকুন্দপুরে রোড শো শেষ করে সভা মঞ্চে এসে বক্তব্যে যথারীতি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। অভিযোগ করেন, শুভেন্দুর রোড শো’তে যাতে ভিড় কম হয়, সেজন্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হয়নি।
চারটি অঞ্চল থেকে রোড শো’তে মানুূষ ভিড় জমিয়েছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু।আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করারও ডাক দেন।পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের ‘উপসর্গহীন বেইমান’ কটাক্ষের পালটা তিনি বলেন বলেন, ‘বলছে শুভেন্দু অধিকারী উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। তবে আমি যদি উপসর্গহীন হয়ে থাকি, তাতে কোনও সমস্যা নেই। উপসর্গহীনরা বেঁচে যায়। কিন্তু তৃণমূল কোম্পানির মাথায় ক্যানসার হয়ে বসে তিনি দলটাকে শেষ করছে। হাতে-পায়ে হলে তাও বাঁচানো যায়। কিন্তু এতো মাথায়!” দলে ছিল। আরে উপসর্গহীন হলে মরে না, বেঁচে যায়। আর তুমি তো তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানির ক্যানসার, এমন পচন লেগেছে। মাথা থেকে শুরু হয়েছে, বাঁচার কোনও উপায় নেই। পা হলে কেটে বাদ দিতে হতো।
আপনারা জানেন, এই যে করোনা চলছে, করোনায় অনেক জায়গায় রোগটা ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন মুম্বইয়ের ধারাভি বলে একটা বস্তি ছিল, রোগটা ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। কলকাতায় দেখবেন আমাদের স্প্রেড (সংক্রমণ) বেড়েছিল, হাওড়ায় বেড়েছিল। তার কারণ কী? করোনায় ৮০ শতাংশ লোক উপসর্গহীন। উপসর্গ নেই তাঁদের – উপসর্গহীন। আমাদের দলেও কিছু উপসর্গহীন বেইমানেরা ছিল। এই বেইমানগুলোকে আমরা চিহ্নিত করেছি।’তাছাড়া এই নির্বাচনে তৃণমূল যদি ৯ পায়, বিজেপি পাবে ৯০।” রাজ্য পুলিশকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, “নির্বাচনী বিধি লাগু হলে ভাইপোর মালগুলোর কী হয় দেখবেন!” এরপরই দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। তৃণমূলকে হঠাতে স্লোগান তোলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলেন প্রথম সারির এই নেতা। উল্লেখ্য, দলবদলের পর ক্রমাগত শাসকদলকে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি একুশে বাংলাকে মোদির হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করছেন তিনি। উলটো দিকে বাংলা দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও।
শুভেন্দুর অনুগামী হিসাবে পরিচিত কনিষ্ক পণ্ডা বলেন, “হামলা করে, ধমকে চমকে শুভেন্দুকে আটকানো যাবে না। আর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তো নয়ই। সব হিসাব আমরা লিখে রাখছি। সময় হলে বুঝে নেওয়া হবে।” তবে দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ জানা বলেন, “পুরনো বিজেপি ও নব বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা তৃণমূলের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এখন লড়াইটা নতুন (দাদার অনুগামী) ও পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। কয়েক দিন আগে বিজেপির সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল আদি বিজেপিরা। মিথ্যে দোষারোপ করে তাই কোনও লাভ নেই।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Protesting the attack on BJP workers
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore