Government help
আরও পড়ুন ঃ–নার্স নিগ্ৰহের জেরে তমলুক জেলা হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ
পত্রিকা প্রতিনিধি: চন্দ্রকোণায় (Chandrakona) বজ্রপাতে মৃত দুই পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন দুই মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া (Manas Bhunia)ও শ্রীকান্ত মাহাতো (Srikanta Mahato)। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী কাকলী ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dostidar)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার চন্দ্রকোনার মনোহরপুর১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হীরাধরপুর গ্রাম যান ওই প্রতিনিধি দল । গত সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ওই গ্রামের বাসিন্দা অর্চনা রায়ের। তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন দুই মন্ত্রী। এরপর প্রতিনিধিদল যান ওই ব্লকের জাড়া গ্রামের বজ্রপাতের মৃত অরুণ মন্ডলের বাড়ি। সরকারের তরফে ২ লক্ষ এবং দলের তরফে ২ লক্ষ মিলিয়ে প্রতি পরিবারকে ৪ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও এদিন সরকারি সাহায্য পেল বজ্রাঘাতে মৃত গৌরাঙ্গের স্ত্রী।মাসখানেক আগে বিয়ে হয়েছিল।স্বপ্ন ছিল অনেক।গত সোমবার বিকালে মেঘ ঘনিয়ে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে ঘন ঘন বাজ পড়ে।বজ্রাঘাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক তরুণ যুবক সহ গৃহবধূর মৃত্যু হয়।পাঁশকুড়া ব্লকের মাইশোরা অঞ্চলের রাজশহর গ্রামে বছর ২৪ এর যুবক গৌরাঙ্গ মাঝি।ভিন রাজ্যে সোনার কাজ করতেন। লকডাউনে কাজের মন্দার কারণে পাঁশকুড়ায় নিজের বাড়িতে এসেছিলেন।গ্রামে এসে বাবার সঙ্গে মাঠে বাদাম চাষ রক্ষণাবেক্ষণ করতো গৌরাঙ্গ।সেদিন বাড়ির কিছুটা দূরে মাঠে তার বাবা জগন্নাথ মাঝির সাথে গৌরাঙ্গ কাজ করছিল।বৃষ্টির প্রকোপ থেকে বাদাম রক্ষা করতে বাড়িতে আনার সময় রাস্তাতেই সব শেষ।বাজ পড়ে মৃত্যু হয় গৌরাঙ্গের। এক মাস আগে বিবাহ হয়েছিল গৌরাঙ্গর।বিবাহ একমাস সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই মৃত্যুর খবরে শোকাহত পরিবারের সদস্যরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।ঘটনার এক দিন পরেই বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা,এবং সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় মৃত যুবকের পরিবারের হাতে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Government help
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore