পত্রিকা প্রতিনিধি : আজ জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা।স্নানযাত্রার পরে শ্রীজগন্নাথদেব এক পক্ষ কাল দৃশ্যমান থাকেন না। মনে করা হয়, তাঁর জ্বর হয়েছে। সেই সময়ে তিনি রাজবৈদ্যের অধীনে চিকিৎসিত হতে থাকেন। এই পর্বটিকে ‘অনাসর’ বা ‘অনবসর’ বলা হয়। যেহতু এই সময়ে দারুব্রহ্মকে দেখা যায় না, সেহেতু তাঁর পটচিত্রে পুজো দেন ভক্তরা। কথিত আছে, আজ স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেব জ্বরে কাবু হয়ে গৃহবন্দী হবেন। রথের আগে পর্যন্ত ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পাবেন না। এই কয়েকটা দিন পূজিতও হবেন না জগতের নাথ। রীতিমত কম্বল মুড়ি দিয়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকার পর রথযাত্রার দিন রাজ বেশে রাজ রথে করে অবতীর্ণ হবেন মাসির বাড়িতে। ঘি মধু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের ফলের রস ও অসংখ্য দ্রব্যাদি দিয়ে জগন্নাথকে স্নান করানো হচ্ছে সকাল থেকে।এক পক্ষকাল জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা দৃশ্যমান থাকেন না। শ্রীচৈতন্যদেব পুরীতে অবস্থানকালে প্রতিদিন জগন্নাথ সন্দর্শনে যেতেন। অনবসরকালে তিনি এই সন্দর্যন থেকে বঞ্চিত হন। তখন তাঁকে স্বয়ং ভগবান জানান, তিনি অলরনাথ রূপে বিরাজ করছেন ব্রহ্মগিরিতে। শ্রীচৈতন্য ব্রহ্মগিরিতে গিয়ে জগন্নাথ দর্শন করেন।
আজ শুক্রবার প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা ।
আজ শহরের জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আগের ছবিটি ছিল অন্যান্য বছরের ন্যায় একটু অন্যরকম ।
শহরের জগন্নাথ মন্দিরে তোলা চিত্র
জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার জন্য কাসাই নদী থেকে জল আনা চলছে । করোনা ভাইরাস এর জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং প্রত্যেকে মুখে মাস্ক লাগিয়ে জল আনছেন পূজারীরা
খড়গপুর এ জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা
মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে স্নান যাত্রার প্রস্তুতি চলছে । করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পরিস্থিতিতে এবছর স্নানযাত্রায় অনেকটাই কাটছাঁট করা হয়েছে । সমস্ত ভক্তবৃন্দ দের বলা হয়েছে তারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং অবশ্যই মাস্ক পরে প্রভূ জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করেন । মেদিনীপুর জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবছর স্নানযাত্রার সময় অন্যান্য বারের মতো এ বছর মন্দিরের ভেতরে কোন ভক্তবৃন্দকে ঢুকতে দেওয়া হবে না । মূলত ভিড় এড়াতেই এই উদ্যোগ । মন্দির সংলগ্ন কাঁসাই নদী থেকে ৭ টি কলসিতে জল নিয়ে এসে প্রভূ জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা সম্পন্ন হবে ।