পত্রিকা প্রতিনিধি: সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে খড়্গপুরের খড়িকা এলাকার বাসিন্দার মৃত্যু হয়। জানা যায়, ওই মহিলা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে প্রসূতি বিভাগের বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ।এরকম অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে কিন্তু শিশুর রিপোর্ট আসে নেগেটিভ । জেলা স্বাস্থ্য ভবন আর দেরি না করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল , খরগোপুর মহাকুমার হাসপাতাল ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রেপিড এন্টিজেন টেস্টে শুরু করার নির্দেশ দেন। শনিবার সকাল থেকেই এই সমস্ত হাসপাতালগুলিতে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু করে দেওয়া হয় । এর সুবিধা হল কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে তার টেস্টের রিপোর্ট আধঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যাবে । এর ফলে কোন মৃতদেহ করোনা পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘন্টা ধরে মর্গে পড়ে থাকতে হবে না ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকার কুন্ডলপাল গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭০ বছর বয়সী এক রেশন ডিলারের।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোররাতে । পরিবার সূত্রে খবর শনিবার মাঝ রাতে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ আনা হয় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে। জ্বর হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে পরিবারের লোকেরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ খাইয়ে ছিলেন । কিন্তু শুক্রবার মাঝরাতে প্রসাব করতে বেরিয়ে পড়ে যান। তার পরেই তাকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয় চিকিৎসকেরা সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয় । সেইমতো খড়গপুরে ওই মৃতদেহ রেপিড টেস্ট করা হয়েছিল যার ফল আধঘণ্টার মধ্যেই পজেটিভ এসেছে ।করোণ আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, এই খবর জানাজানির পর গোটা এলাকায় অংকের সৃষ্টি হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে কে বা কারা কারা এসেছেন তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে । মৃত ব্যক্তির মা সহ পরিবারের ৮ জন সদস্যদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিদ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানা যায় । মৃত ব্যক্তি জ্বর থাকা অবস্থায় কার কার সংস্পর্শে এসেছেন খুঁটিয়ে দেখা হবে এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ।