Mahishadal’s Chhotu married with Nishiddhapalli girl
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মহিষাদলের নিষিদ্ধপল্লির অনাথ যুবতীকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন ছোট্টু দাস। সোমবার সন্ধ্যায় মহিষাদলের নীহারিকা ক্লাবে সরস্বতী পুজো মণ্ডপে ‘যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব’ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামের যুবক ছোট্টু ওই অনাথ যুবতীর সিঁথি রাঙিয়ে সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করলেন। উলু ও শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে তাঁদের মঙ্গল কামনা করা হল। ছেলের নতুন জীবনের এই শুভলগ্নে ছোট্টুর বাবা সনাতন দাস সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে আশীর্বাদ জানালেন।
আরও পড়ুন:- কাঁথি পুরসভার বিজেপি প্রার্থী তালিকা, ৩২ বছর পর এই প্রথম অধিকারী পরিবারের কেউ প্রার্থী হলেন না
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর ও খড়্গপুর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিল তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীরা
উপস্থিত ক্লাব সদস্য ও তাঁদের পরিবার, স্থানীয় লোকজন এবং নিষিদ্ধপল্লিতে অনাথ যুবতীর আশ্রয়দাতা একযোগে ওই দম্পতিকে আশীর্বাদ করলেন। বাসুলিয়া গ্রামের যুবক ছোট্টুরা তিন ভাই ও এক বোন। ছোট্টু মেজ। তাঁর দাদা এলাকার মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এখন রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ছোট্টু একটি খাবারের দোকান চালান। সেখান থেকে খাবার বিভিন্ন জায়গায় হোম ডেলিভারি করা হয়। মহিষাদলের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিষিদ্ধপল্লিতেও খাবার নিয়ে যান ছোট্টু। সেখানে ৩০-৪০জন আবাসিক তাঁর কাছ থেকে খাবার নেন।
Mahishadal
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর সদর ব্লকে অলচিকিতে পঠনপাঠনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন জুন
সেই সূত্রে যাতায়াত। নিষিদ্ধপল্লিতে যাতায়াতের সুবাদে তিন-চার মাস আগে সেখানকার এক যুবতীকে ছোট্টুর মনে ধরে। তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চান। দিন কয়েক আগে সেই নিষিদ্ধপল্লির ওই আবাসিককে নিজের মনের ইচ্ছার কথা জানান ছোট্টু। সাড়া দেন ওই যুবতীও। এরপর সময় নষ্ট না করে ছোট্টু নিষিদ্ধপল্লির যুবতীকে বিয়ের কথা বাড়িতে অভিভাবক সহ অন্যদেরও জানান। তাঁরা এনিয়ে আপত্তি তোলেননি। এরপরই ওই যুবক নীহারিকা ক্লাবের সম্পাদক মানস বেরার কাছে গিয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন।
আরও পড়ুন:- প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ অব্যাহত, পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের পর এবার ক্ষোভের আঁচ বিজেপিতে ও
আরও পড়ুন:- পাড়ায় নয়, ক্লাসরুমে হোক পঠনপাঠন, বিক্ষোভ মেদিনীপুরে
ক্লাব সম্পাদক সহ অন্যরা ছোট্টুর এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়ে বিয়ের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো শনিবার সরস্বতী পুজো মিটে গেলেও প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হয়নি। সেই প্রতিমাকে সাক্ষী রেখেই এদিন চার হাত এক হয়। বিকেল ৩টে নাগাদ ছোট্টু ও তাঁর পরিবারের লোকজন ওই ক্লাবে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর নিষিদ্ধপল্লি থেকে স্থানীয় অভিভাবক তথা আশ্রয়দাতার সঙ্গে ওই যুবতী ক্লাবে আসেন। তারপর দু’জনকে বিয়ের সাজে সাজিয়ে পুরোহিতের উপস্থিতিতে চার হাত এক হয়।
আরও পড়ুন:- কোনোরকম বিভ্রান্তি ছাড়াই পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হলো ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’
আরও পড়ুন:- প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ অব্যাহত মেদিনীপুরে, স্ত্রী’র প্রচারে নামলেন জেলা সভাপতি
স্থানীয় বাসিন্দা শক্তিপদ গায়েন, ছোট্টুর পিসতুতো দিদি, জামাইবাবু সহ আরও অনেকে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
ছোট্টু বলেন, আমি ওই যুবতীকে ভালোবাসি। ওর সঙ্গেই ভবিষ্যৎ জীবন কাটাতে চাই। এনিয়ে সমাজ কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আবার পরিবার এনিয়ে কোনও আপত্তি করেনি। আমরা দু’জন পরস্পরকে ভালোবাসি। আগামী দিনে দু’জনে একসঙ্গে থাকব। এনিয়ে দু’জনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি। ওই যুবতী বলেন, আমার বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। বাবা-মা কেউ নেই।
Mahishadal
আরও পড়ুন:- তৃণমূলের প্রার্থী বদলের দাবি ঘিরে ভোট বয়কট এর হুঁশিয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়
সেই কারণে রুজি রোজগারের জন্য এই পথ বেছে নিতে হয়েছিল। জীবনে স্বামীর সংসার হবে বলে কল্পনা করিনি। প্রত্যেক মেয়ে স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসার করতে চায়। আমিও তার বাইরে নই। ছোট্টুর কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেছি। বিয়ের মুহূর্তটা আমার কাছে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার পথ। ছোট্টুর বাবা সনাতনবাবু বলেন, ওরা দু’জনে দু’জনকে ভালোবাসে।
আরও পড়ুন:- সরস্বতী আরাধনায় মেতে উঠলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাবাসী
এখানে আমাদের আপত্তি নেই। আমার বড় ছেলে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে। ছেলেদের মধ্যে ছোট্টু মেজ। নীহারিকা ক্লাবের সম্পাদক মানস বেরা বলেন, ওই পরিবার অনেক আগে থেকেই আমাদের পরিচিত। সনাতনবাবু অনেক পরিশ্রম করে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন। বড় ছেলে অন্যন্ত মেধাবী। ছোট্টু এসে আড়ষ্টভাবে আমাদের নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। আমরা নিজেদের দায়িত্বে বিয়ের অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিই। একটাই প্রার্থনা, ওরা ভালো থাকুক।
আরও পড়ুন:- নানা জল্পনার পর মেদিনীপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
আরও পড়ুন:- পাড়ায় নয়, ক্লাসরুমে হোক পঠনপাঠন, বিক্ষোভ মেদিনীপুরে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Mahishadal
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore