পত্রিকা প্রতিনিধিঃ একুশের ভোটের আগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এক মাসের মধ্যে পরপর দু’বার বঙ্গ-সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতার ব্রিগেডের জনসভার পর খোদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আসতে পারেন মোদী। আসন্ন নির্বাচনে বাংলা’কে পাখির চোখ করে এবার মোদীর সফরে ১ নম্বরে থাকছেন শুভেন্দুর খাসতালুক কাঁথি৷
উল্লেখ্য , ওই কাঁথির অদূরেই নন্দীগ্রাম৷ আর সেখানে মুখোমুখি লড়াই হবে মমতা বানাম শুভেন্দুর৷ তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয়ের ব্যবধান বাড়াতেই কাঁথি সফরে আসছেন মোদী৷ দলীয় সূত্রের খবর, আগামী ১৮ মার্চ রাতে ফের রাজ্যে আসতে পারেন মোদী৷ থাকবেন ২০ মার্চ পর্যন্ত৷ আর এই দু’দিনের সফরে সভা করতে পারেন কাঁথির পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও ৷
তবে গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে তিনি খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, এত মানুষের জনসমাবেশ আমি আগে কখনও দেখিনি৷ ফেরার সময় চোখে মুখে ছিল তৃপ্ততার ছাপ৷ সব কিছু ঠিক থাকলে ফের ১১ দিনের মাথায় বঙ্গের মাটিতে পা রাখবেন সেই তিনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী৷
প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘সারা জীবনে কয়েকশো সভা করেছি কিন্তু এত বড় রাজনৈতিক সভা আগে দেখিনি। এই সভা সফল করার জন্য বাংলা তথা কলকাতার ভাই-বোনদের প্রণাম। আজই মনে হচ্ছে ২ মে সবাই আসল পরিবর্তন দেখতে এসেছেন।’ আক্রমণাত্মক নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাস ভেঙেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাই আপনাকে দিদি ভেবেছিল কিন্তু আপনি একজনেরই পিসি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা শুধুমাত্র ক্ষমতাবদল চাই না, বাংলায় উন্নয়নকেন্দ্রিক সরকার গড়তে চাই। অনেকগুলো বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর সময় নষ্ট করা যাবে না। আসল পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলার মানুষকে মনে রাখতে হবে, কী ভাবে বার বার তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’