বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : থানার অভ্যন্তরে পড়ুয়াদের মারধরে এফআইআর মেদিনীপুর কোতোয়ালী মহিলা থানার প্রাক্তন ওসি সাথী বারিক ও এসআই লীনা মাহাত-র নামে। গত ১৯ মে মে এফআইআর রুজু করেছে। ওই দুই মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইন সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিট গঠিত হয়েছিল তদন্তের জন্য। সিটের পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর প্রতিভা হালদার এফআইআর করেন। সেখানে তৎকালীন ওসি সাথী বারিক, এসআই লীনা মাহাত-র নাম সহ মহিলা থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীর উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে এক পড়ুয়া আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ডিএসও, এসএফআই সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটে মিছিল করে পৌঁছাতেই ডিএসও কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। মহিলা কর্মীদের মেদিনীপুর কোতোয়ালী মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শরীরে গরম মোম ফেলা, জাতপাত তুলে গালিগালাজ সহ অকথ্য অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তোলেন ডিএসও-র মহিলা কর্মীরা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে শুরু করে রাতে থানা থেকে ছাড়া পর্যন্ত তাদের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সুশ্রীতা সরেন নামে এক ডিএসও কর্মী। হাইকোর্টের বিচারপতি ওই ঘটনায় এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : মেদিনীপুরের বুকে প্রকাশ্যেই পুকুর ভরাটের অভিযোগ
পাশাপাশি থানা পুনর্গঠন এবং সিট গঠন করে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ মহিলা থানার ওসি সাথী বারিক, এসআই লীনা মাহাতো, এএসআই মুনকি কিস্কুকে সরিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ডিএসও-র জেলা কার্যালয়ে এসেছিল তদন্তকারী দল। সুশ্রীতা সরেন, তনুশ্রী বেজ, বর্ণালী নায়ক, রানুশ্রী বেজ এই চার ডিএসও মহিলা কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আরও পড়ুন : নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে না দেওয়ায় অভিযোগ! আত্মহত্যা যুবকের
এফআইআর এবং সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। যদিও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কোন স্থগিতাদেশ দেয় নি ডিভিশন বেঞ্চ। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল। বিচারপতি এফআইআর কপি দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেনি রাজ্য। যে কারণেই শুনানি পিছিয়ে যায়। যার পরবর্তী শুনানি ১৭ জুন। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, তাদের এফআইআর কপি দেওয়া হচ্ছে না। এরপরই বুধবার ডিএসও জেলা কার্যালয়ে এফআইআর কপি পুলিশের পক্ষ থেকে পৌঁছানো হয়েছে বলে জানান ডিএসও নেত্রী তনুশ্রী বেজ। তিনি বলেন, “এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করে জেলা কার্যালয়ে এসে এফআইআর কপি দিয়ে গিয়েছেন।”

আরও পড়ুন : পথশ্রী প্রকল্পের বোর্ড, নেই রাস্তা! ‘চোর’ স্লোগান তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
মহিলা থানায় অত্যাচারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছিলেন সিট গঠন করার। যার নেতৃত্বে থাকবেন আইজি মুরলিধর শর্মা। মাননীয় বিচারপতি শুনানি চলাকালীন জানিয়েছিলেন, কুহেলী সাহা নামে এক মহিলা পুলিশ কর্মী চুলের মুঠি ধরেছেন। ১৭ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ চাইলেও ১৩ ঘণ্টার ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ডিএসপি যে সমস্ত নথি আদালতে জমা দিয়েছিলেন, তাতেও বিশ্বাসযোগ্যহীন বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। ডিএসও নেত্রী সুশ্রীতা সরেন বলেন, “আদালতের উপর আমাদের পূর্ণ ভরসা আছে। আমাদের উপর যে অকথ্য অত্যাচার, জাত তুলে গালিগালাজ, মারধর, গায়ে গরম মোম ফেলা হয়েছে, তার বিচার আমরা পাব। আমরা চাই, দোষী পুলিশ অফিসাররা যেন সকলে শাস্তি পায়।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Police assault
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape