Home » কেশপুর খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের খোঁজ মেদিনীপুর শহরের বড় আস্তানায়, এলাকায় চাঞ্চল্য

কেশপুর খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের খোঁজ মেদিনীপুর শহরের বড় আস্তানায়, এলাকায় চাঞ্চল্য

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি:ত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ কেশপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও বোমাবাজীতে প্রাণ যায় ২ জনের । বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক ১৪ বছরের কিশোর সহ ২ জনের গুরুতর আহত ৩। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপরেই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত দামোদরচক এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় বসে বেশ কয়েকজন বসে গল্প করছিলেন ঠিকসেই সময় হঠাতই তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মুহুর্মুহু বোমাবাজিতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে শেখ মাজাহার নামে চোদ্দো বছরের এক কিশোর। গুরুতর আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মহম্মদ নাসিম নামে আরও এক ব্যক্তির। তারপরেই নড়েচড়ে বসে মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। keshpur, Keshpur

আরো পড়ুন- রাজন‍‍ৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত কেশপুর, মৃত এক ১৪ বছরের কিশোর সহ ২জন

পুলিশের অভিযান

আজ সকাল থেকেই কেশপুরে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মোবাইল ফোনের টাওয়ারের লোকেশন ধরে মেদিনীপুর শহরের বড় আস্তানা এলাকায় অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বড় আস্তানার বাসিন্দা রামু নামে এক ব্যক্তি কে। ওই রামুর আদি বাড়ি কেশপুর থানার পঞ্চমী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার রাতে কেশপুরের দামোদরচক এলাকার বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত থাকা মূল অভিযুক্ত মেদিনীপুরের বড় আস্তানা এলাকায় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।ওই সূত্র ধরেই আজ সকালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হানা দেয় ওই এলাকায়। তারপরেই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ইনতাজ আলি ওরফে (ঝন্টু) কে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।ওইদিকে ঝন্টুকে না পেয়ে বাড়ি থেকে রামু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাঁর সঠিক পরিচয় এখনও জানা যায় নি। রামু জানায়,ঘটনার পরের দিন সকালেই (শুক্রবার) আটটা নাগাদ ঝন্টু তার বাড়িতে আসেন। চা খাওয়ার পরেই কেশপুরের বেশ কিছু তৃণমূল নেতার সাথে ফোনে কথোপকথন হয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয় ইনতাজ আলি তথা ঝন্টুকে আত্মসমর্পণ করার কথাও বলেন রামু । কিন্তু রামু সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঝন্টুকে না পেয়ে শেষমেষ রামু কেই আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা চালাচ্ছে বলে জানা যায়। ঝন্টু তৃণমূল কর্মী বলে জানিয়েছেন রামু। পুলিশ রামুর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি বাড়ির ট্যাঙ্ক খুলেও পরীক্ষা করে দেখেন। তারই পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার বাড়ির ছাদে উঠে পুলিশ তল্লাশি চালায়।এদিকে কেশপুরে ইনতাজ আলি তথা ঝন্টুর বাড়িতে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

পুলিশের অভিযান মেদিনীপুরের বড় আস্তানা এলাকায়

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কেশপুর এলাকায়। পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে।তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানায়, পারিবারিক ঝামেলার জন্য খুন হয়েছেন ২ জন। কিন্তু এর মদত দিয়েছেন সিপিএম ও বিজেপি।ওদিকে ঘাটাল বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভানেত্রী পক্ষ থেকে অন্তরা ভট্টাচার্য জানান, ‘বিজেপি কে আলাদা করে মদত দেওয়ার দরকার নেই, তৃণমূলের গোষ্ঠিকোন্দল ২০‍১১ সাল থেকেই মানুষ দেখে আসছে। যদি অজিত বাবুর দম থাকে কেশপুর ঘুরে আসুন তাহলেই উনি টের পেয়ে যাবেন।’

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.