Murder
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই এ স্ত্রী’র হাতে খুন স্বামী! খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। মৃতদেহ উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা থানার অধীন ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ। সনীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী’র পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হয়েছে স্বামীকে! তবে তবে এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই পৌর এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম তপন কুমার ঘোষ বয়স৪৮ বছর। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। ক্ষীরপাইয়ের এই ঘটনাতে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন:- রাজনৈতিক পালাবদলের পর মেদিনীপুর গ্রামীণ এলাকায় প্রথম সম্মেলন করল সিপিএম
আরও পড়ুন:- “বাংলার বাড়ি” মেদিনীপুর শহরেও, তুলে দেওয়া হল ঘরের চাবি
জানা গেছে, তপন কুমার ঘোষের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে নার্সিং পড়ার সূত্রে বাইরে থাকে। ছেলে পড়াশোনার জন্য মাসির বাড়িতে থাকে। ছোট মেয়ে তাঁদের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার রাতে ক্ষীরপাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বামারিয়া এলাকায় গৃহবধূ রুপালি ঘোষ চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। বলেন, তাঁর স্বামীর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সাথে সাথেই খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন তপন ঘোষ বাথরুমে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। রুপালির কথামতো স্থানীয়রা মৃতদেহ সৎকার করার আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে ঐতিহাসিক রাণী শিরোমণির কর্ণগড় এখন সুসজ্জিত পার্ক
দেহ সৎকার করতে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন, মৃতদেহের গলায় দড়ির চিহ্ন, শরীরের অনেক জায়গায় ক্ষতচিহ্নের দাগ! সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন তাঁরা। খবর পেয়ে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তপনের স্ত্রী রুপালির বিবাহবহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক ছিল। হয়তো স্বামী তপন ঘোষ তা জেনে যাওয়ার পর অশান্তি হয়েছিল! তার জেরেই খুন হতে হয়েছে তাকে বলে পরিবারের দাবি! সোমবার মৃত তপন ঘোষের ভাই স্বপন ঘোষ বলেন, “দাদার গলায় একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্নের দাগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:- কৃষি আইন বাতিলে মেদিনীপুর শহরে বিজয় মিছিল কৃষক সংগঠনের
Murder
ভাইজি বাসন্তী ঘোষের থেকে জানতে পেরেছি ওই রাতে আরো দু’জন ব্যক্তির আগমন ঘটেছিল দাদার বাড়িতে। ওই রাতে বাড়িতে দাদা, বৌদি, ভাইজি ওরা তিনজনই ছিল। পুলিশ তদন্ত করে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করুক।” পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এবং রুপালি ঘোষকে আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলে দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যে, এই ঘটনায় রুপালি নামের মহিলার সাথে আর কে কে জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:- মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহরে মিছিল তৃণমূলের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Murder
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore