health worker
আরও পড়ুন ঃ– মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তমলুক আদালতে নিয়ে আসার সময় চম্পট দিল দুই বিচারাধীন বন্দি
পত্রিকা প্রতিনিধি: অতিমারি পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে আশাকর্মীরা। কোভিড আক্রান্ত পরিবার এবং অন্যান্য মানুষজনকে সচেতন করা সহ স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ করতে হচ্ছে তাদের। কাজ করতে গিয়ে হেনস্তা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাড়িতে যাচ্ছে পুলিশ। প্রতিবাদ জানাতে ডেবরা (Debra) বিডিও দফতরে বিক্ষোভ দেখালো আশাকর্মীরা। এক কোভিড পজিটিভ রোগীকে নিয়েই বিক্ষোভের ঘটনা।
ডেবরা (Debra) আরএইচ সাব-সেন্টারের অধীন এক আশাকর্মী সুপ্রিয়া দোলই (Supriya Dolai) হাসপাতাল থেকে জানতে পারেন তাঁর বারাগড় (Baragarh) এলাকায় কৌশিক সামন্ত (Koushik Samanta) নামে এক যুবক কোভিড আক্রান্ত হোন। খবর পাওয়ার পর সুপ্রিয়াদেবী (Supriyadevi) তাঁদের খোঁজ খবর নেন। কিন্তু ঐ পরিবার কোভিড পজিটিভের কথা অস্বীকার করা হয় বলেও জানান সুপ্রিয়াদেবী। অনেক কথাবার্তার পর তাঁরা তা স্বীকার করেন। এরপর সুপ্রিয়া (Supriya) তাঁদের পরিবারকে নিয়ম অনুযায়ী হোম আইসোলেশনে থাকা সহ নিয়ম কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওই পরিবার ওই আশাকর্মী সুপ্রিয়া দোলইকে অপমানজনক কথা বলেন বলে অভিযোগ। তার কিছু দিন পরে সুপ্রিয়া দোলই-এর বাড়িতে পৌঁছায় ডেবরা (Debra) থানার পুলিশ। তাঁকে থানায় যাওয়ার জন্য বলা হয়। সুপ্রিয়াদেবী বলেন, ওই যুবকের পরিবার থানায় অভিযোগ করে আমি নাকি ওই বাড়িতে দুধ, সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে সবাইকে বারণ করেছি। বিষয়টি বিএমওএইচ স্যার-এর নিকট জানাবো। তারপর প্রয়োজন হলে থানায় যাব। তার আগে নয়। এরপর পুলিশ ফিরে যান।
ঘটনার নিন্দা করেছেন আশাকর্মী ইউনিয়নের ডেবরা ব্লক সম্পাদিকা কাজল চক্রবর্তী (Kajal Chakraborty)। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে আমরা সমস্ত আশাকর্মীগণ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং অপমানিত বোধ করছি। স্বাস্থ্যকর্মীগণ বিপদে পড়লে তাঁদের রক্ষা করার পরিবর্তে পুলিশের এই আচরণ কোনোভাবে কী মেনে নেওয়া যায়? আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করছি এবং এই ঘটনার প্রতিকার চাই।” মঙ্গলবার দুপুরে ডেবরা ব্লকের বিডিও দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ডেপুটেশন দেয় আশাকর্মীরা। ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিএমওএইচ-কেও জানিয়েছেন। ডেবরা ব্লকের আশাকর্মী ঋদ্ধি মহাপাত্র (Riddhi Mahapatra) জানান, ডেবরা ব্লকের বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত (Sinjini Sengupta) এবং জয়েন্ট বিডিও ম্যাডাম দুজনেই জানিয়েছেন এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা থানার ওসি এবং ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য তাঁরা উদ্যোগী হবেন। তবে আমরা এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত এবং প্রতিকারের দাবি জানিয়েছি।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
health worker
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore