Guard forest
আরও পড়ুন ঃ–পশ্চিম মেদিনীপুরে মৃত ব্যক্তির নামে রেশন তোলার অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ গাছ পাচার রুখতে রাতেও নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) বনবিভাগে (Forest Department) সক্রিয় গাছ পাচার চক্র। শাল গাছ কেটে গাড়িতে করে নিয়ে পালানোর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চাঁদড়া ফরেস্টে।
চাঁদড়ার (Chndra) আমাঝরণার (Amjharna) জঙ্গলে মোটা ও পুরনো অনেক শাল গাছ রয়েছে। রয়েছে সেগুন গাছও। সেই সব শাল গাছ কেটে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। চাঁদড়া ফরেস্টের (Chandra Forest) আধিকারিক জানিয়েছিলেন গাছ কেটে পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চালানো হবে। সেইমতো প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই নজরদারি। পাশাপাশি বন সুরক্ষা কমিটিগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাতেও নজরদারি চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত আর গাছ কেটে পাচার করতে পারে নি ওই চক্র। কিন্তু কতদিন সম্ভব হবে এই নজরদারি চালানো তা নিয়ে বনকর্মীদের মধ্যেই সংশয় দেখা দিচ্ছে। বন দফতরের অফিসগুলিতে কর্মী সংখ্যা একেবারে কম। প্রতিটি বীট অফিসগুলিতে তিন থেকে চারজন করে কর্মী।
সারা রাত পাহার দেওয়ার পর দিনে অফিসের নানান কাজ কিভাবে হবে। এক বনকর্মী বলেন, প্রায় ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হচ্ছে সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন। রাতে ডিউটি করে এসে ঘুমোতে গেলে সকালেই এলাকাবাসীর কেউ আসেন নানা সমস্যা নিয়ে। এখন আবার চারা গাছ তৈরি হচ্ছে বন দফতরগুলিতে। সেদিকেও দেখতে হয়। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে দফতরগুলিতে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করা যে জরুরি তা সকলেই স্বীকার করছেন। এভাবে চারা গাছ তৈরি, গাছ লাগানো, জঙ্গল রক্ষা, হাতি তাড়ানো, শিকার আটকানো, সাপ উদ্ধার সহ বিভিন্ন কাজ গুটিকয়েক বনকর্মী দিয়ে কিভাবে সম্ভব তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বনকর্মীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বনকর্মী নিয়োগের দাবিও জানিয়েছে বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার ( Birbaha hansda)কাছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, কষ্ট হলেও জঙ্গল রক্ষা করতে রাতেও পাহারা চলবে নিয়মিত।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Guard forest
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore