Five thousand teachers’ pensions stopped in West Midnapore
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : প্রত্যেক প্রাথমিক শিক্ষককে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে। না দিলে অবসরের পর পেনশন পাবেন না। এমনই নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাঁচ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষকমহলে। এই সমস্যা সমাধানের দাবিতে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছিলেন সমিতির সভাপতি দীপঙ্কর মাইতি, সম্পাদক প্রতাপ পন্ডা, সমীর বেরা সহ অন্যান্যরা। তারা দাবি করেছে, এই সমস্যার সমাধান শিক্ষা দপ্তরকে করতে হবে।
আরও পড়ুন:- বেতন বৈষম্যের বিরুদ্ধে মেদিনীপুর হাসপাতালে বিক্ষোভ নার্সেস ইউনিটির
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে বিরল অস্ত্রোপচারে গলার শ্বাসনালী থেকে কই মাছ বের করে প্রান ফিরে পেলেন এক যুবক
জানা গিয়েছে, 2006 সাল থেকে 2013 সালের মধ্যে যারা এক বছরের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, তারা বাড়তি বেতন ফেরত না দিলে অবসরের পর পেনশন পাবেন না, এমনকি পারিবারিক পেনশনও পাওয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের কড়া সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষা দপ্তরের ভুল বলেই দাবি করছে তারা। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ‘এ’ ক্যাটাগরির ভুক্ত শিক্ষক বলে গণ্য হয়। প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকরা ‘বি’ ক্যাটাগরি বলে গণ্য হয়।
Teachers’ Pensions Stopped
আরও পড়ুন:- মাওবাদী বনধে প্রভাব পড়ল বেলপাহাড়ী ও পাশাপাশি এলাকায়
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে ধাক্কা মোটর বাইকের ,মৃত ১
2012-13 সালে এনসিটিইর নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকার সমস্ত শিক্ষকদের দুই বছরের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে। এই নিয়মে এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ছয় মাসের একটি ব্রিজ কোর্স সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা না হলে তারা হয়ে যাবেন ‘বি’ ক্যাটাগরির শিক্ষক। এই নির্দেশিকা পাওয়ার পর এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করে নেয়। শংসাপত্রও জমা দিয়েছেন নিয়ম মেনে। তারা কিন্তু আগের নিয়মে ‘এ’ ক্যাটাগরির শিক্ষক হিসেবে বেতন পেয়েছে। এখন 2013 সালের নতুন নিয়মে দুই ক্যাটাগরির মধ্যে বেতনের ফারাক অনেকটাই।
আরও পড়ুন:- বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাসপাতালে! ধরা পড়ল হাতেনাতে
2006 থেকে 2013 মধ্যে এই সমস্ত শিক্ষকদের ‘বি’ ক্যাটাগরির শিক্ষক হিসাবে গণ্য করে বাড়তি বেতন ফেরতের নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। সেই বেতন ফেরত না দিলে আটকে যাবে পেনশন। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষক সমিতি। তাদের দাবি, শিক্ষা দপ্তর থেকেই বেতন দিয়েছে, তাহলে তার দায় শিক্ষকরা কেন নেবেন? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষেন্দু বিশুই বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরেও বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অনিমেষ দে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর গ্রামীণে পুলিশের নাকা চেকিং-এ ট্রাক্টর মালিকদের বিক্ষোভ, বালি খাদানে অভিযান পুলিশের
আরও পড়ুন:- বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হল পটের প্রদর্শনী ও মেলা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Teachers’ Pensions Stopped
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore