আরও পড়ুন ঃ–নিউ দিঘায় হোটেল মালিক খুনের কিনারা, গ্রেফতার কাঠের মিস্ত্রী
পত্রিকা প্রতিনিধি: জায়গার দখল কাদের থাকবে তা নিয়ে একই গ্রামের দুই পাড়ার লোকজনদের মধ্যে গন্ডগোল। কথা কাটাকাটি থেকে শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিও বেঁধে যায়। বুধবার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত গুড়গুড়িপাল থানার বেড়াপালে। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বেড়াপাল গ্রামের দুটি পাড়া রয়েছে, উপরপাড়া আর নীচপাড়া। উপরপাড়ার একটি অংশে বন দফতরের জায়গার ওপর দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন কয়েকটি পরিবার। পাট্টার জন্য আবেদনও করেছিলেন। বেশ কিছু জায়গায় বাড়ি না হলেও রান্না ঘর তৈরি বা ফলের গাছ লাগিয়ে দখলে রেখেছেন বহুদিন ধরে। এবার ওই ফাঁকা যায়গার দখল নিতে নীচপাড়ার বাসিন্দারা হাজির হয় বলে অভিযোগ। ত্রিপল ঘেরা রান্না ঘর ভাঙার পাশাপাশি ফলের সমস্ত গাছ নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। নীচপাড়ার তিনজনকে পুলিশ আটক করে বলে জানা গিয়েছে।
নীচপাড়ার বাসিন্দা প্রবীর আদক বলেন, ১৯৭৮ সালে কংসাবতী নদীর জলের বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। সেইসময় আমাদের পাড়ার অনেকে উপরপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে। পরে আবার ফিরে যায় এবং বাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। সেইসব জায়গায় পরে ওরা বাড়ি তৈরি করে। এখনও অনেক জায়গা ফাঁকা আছে, সেই জায়গায় বাড়ি করতে গেলে বাধা দিচ্ছে।’ তবে স্থানীয় মানুষজন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন চল্লিশ বছর পর জায়গার কথা মনে পড়লো? উপর পাড়ার বাসিন্দা, মতিলাল জানা, রাহুল জানারা বলেন, ‘দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি। বাড়ির সামনে উঠোনে একটু জায়গা রয়েছে। সেখানে রান্না করা হয় এবং গরু, ছাগল বাঁধা থাকে। দু-চারটা ফলের গাছ রয়েছে। দীর্ঘদিন দখলে রয়েছে আমাদের। ওরা জোর পূর্বক এসে রান্না ঘর ও গাছ ভেঙে দখল নিতে চাইছে। বাধা দিতে গেলে মারধরও করে।’
বন দফতর সূত্রে খবর, ওই জায়গাটি বন দফতরের। দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গায় বসবাস করছেন অনেকগুলি পরিবার। এখনও পর্যন্ত কেউ পাট্টা পাইনি। এই বিতর্কের অবসান চাইছেন অনেকে। তারা বলেন, বিতর্কিত ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানো হোক বন দফতরের পক্ষ থেকে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Conflict
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore