বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : রাজ্যে পরিবর্তনের পর প্রথমবার লালগড়ের ছোট পেলিয়া গ্রামে গেলেন ছত্রধর মাহাত। স্মরণ করালেন আন্দোলনের কথা। জানিয়ে এলেন আন্দোলনই আমাদের পথ। আন্দোলন আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, শিক্ষা, খাদ্য দিয়েছে। সেই লড়াইয়ের পথেই থাকবো। শুক্রবার বিকেলে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে ছোট পেলিয়া গ্রামে হাজির হন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাত। তাকে ফুলের মালা পেরিয়ে বরণ করেন গ্রামবাসীরা। জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে গ্রেফতার হন ছত্রধর।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
ওই ছোট পেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিতামণি মুর্মু। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর শালবনীতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে মাইন বিস্ফোরণ হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান বুদ্ধবাবু। ৫ নভেম্বর গভীর রাতে ছোট পেলিয়া গ্রামে এক মাওবাদী নেতা ও তার সঙ্গীদের খোঁজে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের বন্দুকের নলের খোঁচায় ছিতামণিদেবীর বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে যায় বলেও অভিযোগ। ৬ নভেম্বর লালগড়ে রাস্তা কেটে, গাছ ফেলে পথ অবরোধ ও গাড়ি-বাস ভাঙচুরের মাধ্যমে শুরু হয় আন্দোলন। তারপর কংসাবতী নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে।
সেই গ্রামে ১৪ বছর পর পা রাখলেন ছত্রধর। স্মরণ করিয়ে দিলেন সেই আন্দোলনের দিনগুলির কথা। তিনি বলেন, “আন্দোলনে এই গ্রামের অনেকের অবদান রয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন লড়াই করতে গিয়ে। তাদেরকে নিয়েই আমি হাঁটতে চাই। তাদেরকে নিয়েই আমি জনগণের সেবা করতে চাই। যে লড়াই আমাদের সামনে এসেছিল, সেই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবাংলার পরিবর্তন। সেই লড়াইয়ের মাধ্যমে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত। এই লড়াইকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাব। এই শপথটা এখনো একইভাবে নিয়ে যাব। ১৪ বছর আমি আপনাদের সামনে আসতে পারিনি বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে।”
আরও পড়ুন : ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলো পুলিশ ও পৌরসভা
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
তবে ছত্রদর মাহাত মন-প্রাণে এখনো স্মরণ করেন আন্দোলনের সেই দিনগুলি। আন্দোলনের ফলেই জঙ্গলমহল তথা লালগড়কে চিনেছিল সারা বাংলা এমনকি দেশ। সেই সময় রাস্তাঘাট, পানীয় জল সহ একাধিক অনুন্নয়নের ছবি ধরা পড়েছিল জঙ্গলমহলে। তার মাঝে নেতাদের রাজপ্রাসাদ। জঙ্গলমহলবাসীর মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভের একদিন বিস্ফোরণ ঘটে। তার পাশে ছিল পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। তবে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ৫ নভেম্বর রাতে ছোট পেলিয়া গ্রামে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ ঘিরে। পরে জনগণের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে মাওবাদীরা।
সেই লড়াই হয়েছিল বলেই আজ জঙ্গলমহলে রাস্তাঘাট এবং পানীয় জলের উন্নয়ন হয়েছে। যে কথা নিজের মুখে ছোট পেলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সামনে স্বীকার করলেন ছত্রধর। তিনি বলেন, “ওই আন্দোলনের ফলে অনেক মানুষই অকপটে-অন্তরালে স্বীকার করে যে, আন্দোলনই আজকে পরিবর্তনে এনেছে। আন্দোলনেই রাস্তা পেয়েছি, শিক্ষা পেয়েছি, খাদ্য পেয়েছি। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে স্টেজের মধ্যে উঠে যারা ভাষণ দিচ্ছে, ২০০৮-০৯ সালে এদের কোন রোল ছিল না বা এরা সেই সময় ছিলই না। আজ অনেক নেতৃত্ব এসেছে। এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা আপনাদের অবদানের জন্যই আজকে নেতৃত্বটা পেয়েছে।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper