পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ঘুর্নীঝড় আম্ফানের জেরে কোন ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার ২০০ জন তৃণমূল নেতাকে শোকজ করেছিলো দল আগেই। শুধু শোকজ নয় তাদের তিন দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো সেই নির্দেশ দেওয়া হয় ।তার পর কেটে গেছে কয়েক দিন । সাংবাদিক বৈঠক নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাথ পাল জানিয়েছেন তাঁদের সেই চিঠি পাওয়ার পরে টাকা ফেরানোর হিড়িক পড়ে নন্দীগ্রামে ।গতকাল পর্যন্ত ৮৭ জন অভিযুক্ত টাকা ফেরত দিয়েছেন।আজ আরো ৫০জন টাকা ফেরত দেবে ।তবে এর মধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে দল ।জানিয়েছেন এক গ্রাম প্রধান সহ ২৫ জনকে সাসপেন্ড করেছে দল ।এর মধ্যে কয়েক জন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ বিভিন্ন স্তরের দলীয় নেতৃত্ব আছে ।এই ঘটনায় তৃনমূলের ভাবমুর্তি নষ্ট হল কিনা জানতে চাওয়ায় মেঘনাদ পাল বলেন ক্ষুব্ধ মানুষেরা তৃনমুল কিংবা এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উপরে অসন্তুষ্ট নন ।তাঁরা জানেন দলের স্থানীয় স্তরের কিছু নেতা এই কান্ড ঘটিয়েছে।তাই তাদের ক্ষোভ সেই সকল নেতৃত্বের উপরে।দলের বিষয়টা নজরে আসতেই তাই দ্রুততার সাথে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।বলেন তৃনমুলে দুর্নীতিবাজদের কোন যায়গা নেই ।মমতা ব্যানার্জীর দল আর বিজেপি,সিপিএম কিংবা কংগ্রেসের মধ্যে পার্থক্য আছে ।তাই দুর্নীতির বিষয়টা সামনে আসতেই দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হল।
উল্লেখ গত ২৯ জুন জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ।তারপর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসে নন্দীগ্রাম ১ ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লক।