বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ফের বাঁদরের আক্রমণ। দু’মাসের ব্যবধানে নতুন করে আতঙ্ক পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে। জখম হয়েছেন ৩০ জন। তাদের কয়েকজনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। বাঁদরটিকে খাঁচা বন্দি করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বনদপ্তর। কিন্তু ধরা দিচ্ছে না। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ দিন ধরে শালবনী এলাকায় একটি বাঁদর ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রথমের দিকে কেউ কেউ খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আক্রমণ করতেই আর কেউ সাহস দেখায়নি। শালবনী এবং পার্শ্ববর্তী চকতারিণী, তিলাখুলা গ্রামে বাড়ির ছাদে, গাছের ডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পথচলতি এমনকি বাড়ির ছাদে মানুষজনকে দেখতে পেলেই আক্রমণ করছে। মহিলা শিশুসহ প্রায় ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। কয়েকজনের আঘাত এতটাই গুরুতর তাদের কলকাতার হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে চিকিৎসার জন্য। শেষ পাঁচদিন চেষ্টা করেও বাঁদরটিকে কাবু করতে পারেনি বনদপ্তর। জাল বিছিয়ে ফাঁদ পাতলেও সেই জালে ধরা দেয়নি। বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, ধরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেই বাঁদরটি লুকিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিচ্ছেন, বাড়িতে, রান্নাঘরে বা যেকোন জায়গায় যেকোন সময় অতর্কিতে ঢুকে আক্রমণ শানাচ্ছে বাঁদরটি। এমনকি রাস্তায় পথচারীদের ওপরেও আক্রমণ করে আহত করেছে বেশ কয়েকজনকে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

বিভিন্ন জায়গায় ফলের টোপ দিয়ে, জাল ফেলে কোনোমতেই কাবু করা যাচ্ছেনা তাকে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে এমনই এক বাঁদরের আবির্ভাব হয়েছিল শালবনী এলাকায়। সেই সময় ২০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন। পরে বনদপ্তর খাঁচা বন্দি করেছিল বাঁদরটিকে। ফের নতুন করে তাণ্ডব। স্থানীয়রা জানিচ্ছেন, এই বাঁদরটি কারও পোষা। শালবনী স্টেশনের পাশে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছে।

তারপর থেকেই ওই এলাকা জুড়ে তার তাণ্ডব ক্রমবর্ধমান। একদিকে আতঙ্ক এবং অন্যদিকে বনদপ্তরের প্রতি ক্ষোভও দেখাচ্ছেন স্থানীয় মানুষেরা। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে, টিউশনে এবং এলাকার মানুষজন প্রাতঃভ্রমণে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। অনেকে বাঁদরের আতঙ্কে বাড়ির দরজা-জানলা খুলে রাখতেও ভয় করছেন। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে বাঁদরটিকে ধরার। কিন্তু যখনই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বাঁদরটি লুকিয়ে পড়ছে। আমরা জাল বিছিয়ে বিভিন্ন ফলের টোপ দিয়েও চেষ্টা করেছি, কিন্তু ধরা দিচ্ছে না।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Monkey attack
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape