Warning: Undefined array key "file" in /home/biplazzh/public_html/wp-includes/media.php on line 1768
বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্য দপ্তর । প্রতিনিয়ত হাসপাতলে হাজির হচ্ছেন নাবালিকা অন্তঃসত্বারা। পোলিও কার্ড করানোর জন্য ১৪ থেকে ১৭ বছরের নাবালিকা অন্তঃসত্বাদের দেখে বেজায় চটছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকেরা। নিরুপায় হয়ে অবশেষে এই নাবালিকাদেরই পোলিও কার্ড দিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের। নাবালিকা বিবাহ রোধে স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সচেতনতামূলক প্রচার সত্বেও জেলায় ক্রমশ বাড়ছে নাবালিকা বিবাহ ও নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার সংখ্যা। কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

2/7. জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে প্রায় দশ হাজার এর বেশি নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা । এমনি সব নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাদের প্রতিনিয়ত হাসপাতাল গুলিতে নজর রাখলেই চোখে পড়বে। এমনই ছবি ধরা পড়ল জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সাফাই, একাধিক বার সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য অনেকটাই কমেছে আগের থেকে। তবে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাদের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেল, কেউ ফোনে ফোনে প্রেম আলাপ করে পরিবারের অজান্তেই পালিয়ে বিয়ে করেছেন। কেউ আবার পরিবারের দারিদ্রতার জন্যই বিয়ে করেছে।
3/7. কিন্তু এই নাবালিকা অন্তঃসত্বা মা কি জানে – শারীরিক ভাবে না সুস্থ থাকলে সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারবেন না। মা-শিশু সুস্থ না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর। এই অন্তঃসত্বা মাতৃ মৃত্যু বন্ধ করতে গেলে বন্ধ করতে হবে টিনেজ প্রেগনেন্সি। নাবালিকা অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়া কমাতে গেলে বন্ধ করতে হবে বাল্য বিবাহ। এই মুহুর্তে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা! যে সংখ্যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের।
4/7. প্রশাসনের আধিকারিকদের উপলব্ধি, নাবালিকার বিয়ে রুখতে না পারলে, কমানো যাবেনা নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার হার। ফলে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে গুচ্ছ পরিকল্পনা জেলা প্রশাসনের, সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভিলেজ চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি গুলিকে আরও সক্রিয় করার উদ্যোগ। কমিটি গুলিতে গ্রামের মুখ্যা, মোড়ল, পুরোহিত, সিভিক ভলেন্টিয়ার, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি থেকে পঞ্চায়েত সদস্যদের যুক্ত করে ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা। যাতে এলাকায় কোনও নাবালিকার বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলেই খবর পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন বা শিশু সুরক্ষা দপ্তরের কাছে।
আরও পড়ুন : হারিয়ে যাওয়া ২৫ টি মোবাইল ফিরিয়ে দিল সবং থানা
আরও পড়ুন : মহিলা থানায় পড়ুয়াদের অত্যাচারের অভিযোগে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভ
5/7. জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এক বছরে জেলায় ১০,৭৫৫ জন নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। জেলায় বাল্য বিবাহের হার বেশি বলেই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাও অনেক বেশি। যদিও পূর্বের তুলনায় জেলায় নাবালিকা বিয়ের হার কিছুটা কমলেও, অন্যান্য জেলার তুলনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাল্য বিবাহের হার এখনও অনেকটায় বেশি। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যানের তালিকা অনুযায়ী, জেলার চন্দ্রকোনার দুটি ব্লক তথা চন্দ্রকোনা-১ ও চন্দ্রকোনা-২ ব্লকে শতাংশের বিচারে ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ বর্ষে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার সংখ্যা সবথেকে বেশি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, আস্তে আস্তে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা এবং মাতৃ মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। তবে বাল্যবিবাহ বন্ধ না করা গেলে এই সংখ্যা কমবে না।
6/7. জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বিষয়টি স্বীকার করে নেন, এমনকি অল্প বয়সে মা হলে শিশু ও মায়ের একাধিক শারীরিক ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বাল্য বিবাহ বন্ধে শুধু স্বাস্থ্য দপ্তর না প্রশাসনের সব স্তরে সচেতনতামূলক প্রচার ও পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান। অপরদিকে এনিয়ে জেলার জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরীও জানান,বিদ্যাসাগরের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, তার স্বপ্ন ছিল বাল্যবিবাহের পরিসংখ্যান শুন্য করা তা আমাদের সফল করতে হবে। এটি একটি সামাজিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি জটিল এবং সিরিয়াস ইস্যু এটা নিয়ে আমাদের সকলের কাজ করতে হবে।”
আরও পড়ুন : মেলা দেখতে গিয়ে বচসা! নারায়ণগড়ে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
আরও পড়ুন : পিংলায় বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ড্রাইভার সহ ২
7/7. স্বাস্ব্য দপ্তর থেকে পুলিশ প্রশাসন বা স্কুল কলেজে বাল্য বিবাহ বন্ধে বিভিন্ন সচেতনতামুলক প্রচার অভিযান হলেও জেলায় নাবালিকা বিবাহ ও নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার সংখ্যা বৃদ্ধিতে দুঃশ্চিন্তায় ব্লক থেকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী রূপশ্রীর মতো প্রকল্প নিয়ে যেখানে সাফল্যের চর্চা হতে দেখা যায়, সেখানে নাবালিকা বিবাহ ও অন্তঃসত্ত্বার পরিসংখ্যান দেখে সরকারের প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন : বন্যপ্রাণ শিকার আটকাতে বন দপ্তরের জোড়া ফাঁদ, গাড়ি মালিকদের বাড়িতে পৌঁছাবে আইনি নোটিশ!
আরও পড়ুন : দু’মাস পর বাড়ি ফিরলেন চিকিৎসা বিভ্রাটে অসুস্থ প্রসূতি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Minor Pregnancy
#WestMedinipur#MinorPregnancy#ChildProtection#TeenPregnancyCrisis
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper