Home » Midnapore : মন্ত্রীর পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা হলো না নাবালিকার, মৃত্যু মেদিনীপুর হাসপাতালে

Midnapore : মন্ত্রীর পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা হলো না নাবালিকার, মৃত্যু মেদিনীপুর হাসপাতালে

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Midnapore: The minor, who was not saved even after holding the minister’s feet, died in Midnapore Hospital.

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : একাধিকবার মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই তদন্তের আশ্বাস দেয় কিন্তু তা মাঝপথেই আটকে যায়। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগী রোগীর আত্মীয়দের। আর হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ বিভিন্ন ওয়ার্ডের। সিনিয়র চিকিৎসকের তো দেখায় মেলে না বলে অভিযোগ। ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতেই কেউ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন, কেউ অকালে প্রাণ হারান। এমনই অভিযোগ একাংশ রোগীর পরিবারের। তারপরও চিত্র বদলায়নি।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here

Midnapore
নিজস্ব চিত্র

এরই মধ্যে এক নাবালিকার মৃত্যুকে ঘিরে আবার কাঠগড়ায় তুললেন চিকিৎসকদের। ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, “ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। দুবার ধরে অপারেশন করিয়েছে কোনরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে। সিনিয়র চিকিৎসকরা আসেননি।” উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেদিনীপুর শহরের ঝর্ণাডাঙ্গা এলাকার সুপ্রিয়া রায় নামে বছর ১৩-র এক নাবালিকাকে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি করেছিলেন তার বাবা-মা। চিকিৎসকরা এপেনডিক্স হয়েছে বলে নাকি দাবি করে তার অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে আরও অসুস্থ হতে থাকে। পুনরায় দ্বিতীয়বার অপারেশন হয় বলে পরিবারের দাবি।

আরও পড়ুন : হাসপাতালে দেখা মেলে না সিনিয়র চিকিৎসকদের! মেয়েকে বাঁচাতে মন্ত্রীর পা ধরলেন বাবা-মা

আরও পড়ুন : রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঝলসে গেল চারজন

তারপরই চিকিৎসকরা পরিবারকে জানান নাবালিকাকে বাঁচানো মুশকিল। এরপরেই পরিবারের দাবি চিকিৎসকদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের ওয়ার্ডে দেখা না মেলারও অভিযোগ। রবিবার সকালে হাসপাতালে লালগড়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে আগত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পায়ে জড়িয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেন মেয়েকে বাঁচানোর আর্জিতে। বীরবাহা হাঁসদা বলেছিলেন, “কি হয়েছে বিষয়টি দেখতে বলেছি। সুপার সঙ্গে কথা বলব।”

Midnapore

ঐদিন অর্থাৎ রবিবার রাত্রি ন’টা নাগাদ ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। তারপরই হাসপাতাল চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে রোগীর পরিবারদের বিক্ষোভে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা, কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিক, পৌরসভার প্রৌরপ্রধান। কথা বলেন মৃতার পরিবারের সঙ্গে। মৃত ওই নাবালিকার মামা বিকাশ দোলই বলেন, “চিকিৎসকদের গাফিলতিতে এবং ভুল চিকিৎসায় আমার ভাগ্নির মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রীর পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও শেষ রক্ষা করা গেল না। যদি চিকিৎসাটা প্রথম থেকে ভালো ভাবে করত তাহলে বেঁচে যেত।

আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! নিজের বাড়িতে ইলেকট্রিক শকে মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ারের

আরও পড়ুন : একনাগাড়ে বৃষ্টি, জমিতে জমছে জল! পশ্চিম মেদিনীপুরে মাথায় হাত আলু চাষীদের

গতকাল রাত্রি ন’টা নাগাদ জানিয়েছে মৃত্যু হয়েছে বলে। অথচ তার আগেই মারা গিয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” সুজয় হাজরা বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যদি ভুল থাকে সরকারি আইন অনুযায়ী তার প্রতি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই পরিবারের পাশে সব সময় আছি।” বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন, “ভুল অপারেশনে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। সঠিক তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখানের চিকিৎসকদের দিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করবে।”

তবে যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ডাঃ সমরেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ভুল চিকিৎসা বা সিনিয়র চিকিৎসকদের নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে না থাকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন, “যা বলার লিখিত আকারে হাসপাতালের এমএসভিপি-র কাছে আমি দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলবো না।”

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Midnapore

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.