পত্রিকা প্রতিনিধিঃ কোভিড উদ্বেগে হ্যাংঝৌ’য়ে সিনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল হতেই গ্রাস করেছিল হতাশা। এমতাবস্থায় আসন্ন অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি বাংলার প্রণতি। ২০১৯ এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতলেও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার কারকাই গ্ৰামের কন্যা প্রণতি নায়েক। অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেতে তাই তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল সিনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে। তবে আগামী ২৯মে -১জুন কোভিডের কারণে সেই চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল হওয়ায় কার্যত স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার এই জিমন্যাস্টকে। অবশেষে এশীয় কোটায় টোকিওর ছাড়পত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রণতি। মহাদেশীয় কোটায় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার এক জিমন্যাস্টের পর দ্বিতীয়স্থানে নাম ছিল ভারতীয় জিমন্যাস্টের।
প্রসঙ্গত, অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়ে ২৬ বছরের জিমন্যাস্ট প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই’কে জানিয়েছেন, ‘২০১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর না করতে পেরে ভীষণ হতাশ ছিলাম। একইসঙ্গে একের পর এক ইভেন্ট বাতিল হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি ভাবতে পারিনি যে আমার অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবে।’ যদিও এখনও বিশ্ব জিমন্যাস্টিকের গভর্নিং বডির অফিসিয়াল কলের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রণতি। প্রণতির সাফল্যে দারুণ খুশি তাঁর দীর্ঘদিনের কোচ মিনারা বেগম। যিনি ২০১৯ অবধি স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বেগম জানিয়েছেন, ‘মঙ্গোলিয়ায় এশিয়ান ইভেন্ট এবং জার্মানিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করে প্রণতি ওঁর র্যাংকিং পয়েন্ট ধরে রেখেছিল। যার ফলশ্রুতিতে চিনের ইভেন্ট বাতিল হলেও অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে গেল। আমি ভীষণ খুশি ওঁর জন্য।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ মঙ্গোলিয়ার উলানবাতারে ব্রোঞ্জ জয়ের পর ওই বছরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও নজর কেড়েছিলেন পিংলার এই জিমন্যাস্ট। তবে জার্মানিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বিম ইভেন্টে প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন প্রণতি। কোনও ইভেন্ট না থাকলেও কোচ লখন মনোহর শর্মার অধীনে অতিমারী এবং লকডাউন পরিস্থিতিতেও নিজেকে ফিট রাখার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আপাতত আগামী কয়েকমাস কঠোর পরিশ্রম করে অলিম্পিকে ভালো ফল করাই লক্ষ্য প্রণতির। তবে এখনও প্রণতির কাছে আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্ট পেডারেশন থেকে কোনও সরকারি চিঠি এসে পৌঁছায়নি। এই চিঠির অপেক্ষায় রয়েছেন প্রণতি।