ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পঞ্চায়েতের থেকেও খারাপ অবস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক নাকি তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। ভোট করাতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব বিভিন্ন সভায় বলেছিলেন পঞ্চায়েতের মতো রাজ্য পুলিশ নয়, এবার কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হবে। ভোট লুট হতে দেব না। কিন্তু সেই কেন্দ্র বাহিনীর বিরুদ্ধেই তৃণমূলের দালালির করার অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি তাঁকে উল্টে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ হিরণের। হিরণ বলেন, “সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুর ঘুরে বেড়িয়েছি কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পায়নি। শুধুমাত্র স্কুলের ভেতরে বসে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। রাত্রিবেলা ঘুমিয়ে গিয়েছে। সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। কেশপুর, আনন্দপুরে বোমার বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের পোলিং এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। বুথ থেকেও এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। সেন্ট্রাল ফোর্স বলে কিছু নেই। বহু জায়গায় পোলিং এজেন্ট বসতে পারেনি। এরকম পঞ্চায়েত ভোটেও হয়নি।” কেন্দ্র বাহিনীর উপর আস্থাও রাখতে পারছেন না হিরণ।
তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি গতকাল রাত্রে আমাকে অসভ্য, নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন। তার কোনো দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। সেন্ট্রাল ফোর্স বিক্রি হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের কাছে।” তবে কুইক রেসপন্স টিমের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন হিরণের। শনিবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন ছিল ঘাটাল কেন্দ্রে। আর সেখানেই কেশপুর জুড়ে তুমুল উত্তেজনা হিরণকে ঘিরে। কেশপুরে ঢোকার মুখে একাধিক জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁকে বাধা দেওয়ার। আনন্দপুর এবং কেশপুর থানার ওসির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। কেশপুরের মুগবসান এলাকায় তাঁর রাস্তা আটকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। গাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। লাঠিসোঁটা নিয়েও তেড়ে আসেন তাঁর দিকে।
Lok Sabha Election
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং
হিরণকে দেখে ‘চোর’, ‘চোর’, স্লোগানও ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান হিরণ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “হিরণ গতকাল রাত্রি ন’টার সময় ঢুকেছিল আমাদের দু’নম্বর অঞ্চলে। খেরবালি, সাহসপুর সহ তিন জায়গায় দাঁড়িয়ে রাতের অন্ধকারে কিছু লোককে পয়সা দিয়ে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের গ্রামবাসীদের যারা ভোটের উৎসবে খাওয়া-দাওয়া করেছিল, তাদের ব্যাপক মারধর করে। পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। গ্রামে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে গিয়েছে। গ্রামে দাঁড়িয়ে থেকে হিরণকে হাত জোড়ো করে ভুল স্বীকার করতে হবে। তবে আমরা উঠবো, না হলে উঠবো না। কেন করলো? শান্তিতেই ছিল তো কেশপুর।”
যদিও হিরণের দাবি, “পুলিশ এইসব লোকগুলোকে দিয়ে আমার রাস্তা আটকানো করাচ্ছে।” সকাল থেকে শান্ত থাকলেও হিরণের প্রবেশ ঘিরে কেশপুর অশান্ত হয়ে উঠলো! বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ। তৃণমূলের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবে সকাল থেকে ভোট চললেও, হিরণ এসে অশান্তি বাধিয়েছেন। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও হিরণ বিরাট কনভয় নিয়ে এলাকায় ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ করে পুলিশ। পথ আটকে তাঁকে গাড়ির সংখ্যা কমানোর কথাও বলেন আনন্দপুর থানার ওসি আসিফ সানি। পাল্টা তাঁকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ হিরণের। তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব বলেন, “হেডলাইনে থাকতে এসব করছেন উনি। হার নিশ্চিত জেনেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে, নইলে কেউ পাত্তা দেবে না।”
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper