পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ২১ শে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনার পর তৃণমূল কংগ্রেস ঘর গোছানোর উদ্যোগ নেন সামনে বছর নির্বাচন।নন্দীগ্রামের তৃণমূলের হারের পর অনাস্থা । নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত১১ জন সদস্য ও সদস্যা। নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বনশ্রী খাড়া, বর্তমান একুশে বিধানসভায় তৃতীয়বারের মা মাটি মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীসভার মন্ত্রী শিউলি সাহা।
তার মায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন সদস্য। সদস্যদের অভিযোগ দল বিরোধী কাজ করছে বনশ্রী খাড়া। তাই আজ নন্দীগ্রাম বিডিও অফিসে সদস্যরা লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনল। এবিষয়ে বনশ্রী খাঁড়া জানান , তিনি নিজেও আর পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাতে চান না। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে আজই সকাল ১১টা নাগাদ ব্লক অফিসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বেলা দেড়টা নাগাদ অনাস্থা জমা দিয়েছেন ১১ জন সদস্য। এই পঞ্চায়েতে মোট ১৩ জন সদস্য রয়েছে। বনশ্রীকে বাদ দিয়ে অপরজন হল তাঁরই ছেলে সুদীপ খাঁড়া। আগের টার্মে সুদীপ এই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিল।
অপরদিকে নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করেছেন বনশ্রী খাঁড়া। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বিরোধী পক্ষকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সবদিক খতিয়ে দেখার পরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা বনশ্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।